অ্যান্টিগা টেস্ট বাংলাদেশের জন্য এক দুঃস্বপ্নের নাম। বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী, সহজ ক্যাচ হাতছাড়া, বোলিংয়ে নির্বিষভাব- হতাশা ছড়াতে যা যা লাগে উপস্থিত ছিল সব বিভাগেই। বিব্রতকর পারফরম্যান্সের পর ক্রিকেটাররাও যারপরনাই হতাশ। হতাশার সেই মেঘ সরিয়ে জ্যামাইকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালের কণ্ঠে।
‘আশা করি, জ্যামাইকায় আমরা যেকেউই সুযোগ পাই না কেনো, সেটি কাজে লাগিয়ে বড় স্কোর গড়তে পারি। আমরা চেষ্টা করব একটি ভালো টেস্ট আপনাদের উপহার দিতে।’
স্বাগতিক উইন্ডিজের কাছে প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ২১৯ রানে হেরেছে বাংলাদেশ দল। পাঁচ দিনের ম্যাচ শেষ হয়ে যায় তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ গুঁটিয়ে যায় নিজেদের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার দুই ইনিংস মিলিয়ে করতে পারেনি দুইশ রানও। এমন পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা নেই তামিমের কাছে। তবে বাংলাদেশ দল যে এতটা বাজে খেলার মতো নয় সেটি ঠিকই বললেন।
‘আমাদের শেষ টেস্ট ম্যাচটি আপনাদের জন্য যেমন শক ছিল, আমাদের জন্যও শকিং ছিল। আমরা এর চেয়ে অনেক ভালো দল। যে ধরণের পারফরম্যান্স করেছি, তা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। এখন দলের ভেতর যে আবহটা আছে, আমরা কোনো ভাবেই অজুহাত খোঁজার চেষ্টা করছি না। আমরা আশা করছি যে পরের টেস্ট ম্যাচে ভালো কিছু করার। ভালো কিছুর চেষ্টা করব।’
দ্বিতীয় ইনিংসে সোহানের ব্যাটে ৬৪ রান এসেছে। তা না হলে আবারও একশর আগেই গুটিয়ে যেত বাংলাদেশ। সেই লজ্জা থেকে বাঁচিয়েছেন অসাধারণ ব্যাটিং করে। লোয়ারঅর্ডারে রুবেল হোসেন পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন টিকে থাকার। করেছেন ১৫ রান। তাতে আরও বড় হয়ে উঠছে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা।
‘আমার জন্য, আমাদের দলের সবার জন্য সবচেয়ে জরুরি হল বিশ্বাসটা রাখা যে আমরা ভালো করতে পারি। বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা বড় স্কোর গড়তে পারি। শেষ টেস্ট ম্যাচে সোহান যেভাবে ব্যাট করেছে, লোয়ার অর্ডাররা যেভাবে করেছে, এটাই প্রমাণ করে যে উইকেটে সময় কাটাতে পারলে উইকেট যতই কঠিন হোক না কেনো, রান হয়ে যায়।’