ইন্টার মিলানের দুর্দান্ত রোমেলু লুকাকু চেলসিতে বড্ড ফ্যাকাসে। রেকর্ড অর্থে ব্লুজ ডেরায় এসে হারিয়ে খুঁজছেন নিজেকে। চোট এবং বিতর্কের বাধা পেরোলেও তার পিছু ছাড়ছে না ফর্মহীনতা। লুকাকুর এমন অবস্থার মূলে আছে ‘আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি’।
বেলজিয়ান স্ট্রাইকারকে নিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ক্লাবটির সাবেক স্ট্রাইকার ক্রিস সাটন। সাবেক ইংলিশ ইন্টারন্যাশনাল ও ধারাভাষ্যকার দেখছেন আত্মবিশ্বাসের অভাব। তার মতে, চেলসিতে সুখী হতে পারছেন না লুকাকু এবং সেই প্রভাবেই নিজেকে আড়াল করছেন মাঠে।
সাটনের এমন মনে করা স্বাভাবিকও। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জেতার ম্যাচে লুকাকুর গতিবিধি ছিল দৃষ্টিকটু। শুধু তাই নয়, বেলজিয়ান স্ট্রাইকার নতুন করে গড়েছেন ২০০৩ সালের অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ড। প্রিমিয়ার লিগে ৯০ মিনিটে ওইদিন রেকর্ড মাত্র সাতবার বলে পা ছোঁয়াতে পেরেছিলেন তিনি। বল দখলে ব্যর্থ হওয়ার বাজে রেকর্ড আবারও উসকে দিয়েছে চেলসিতে লুকাকু বিতর্ক।
সেটা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন সাবেক ফরোয়ার্ড সাটন। পরের মৌসুমে থমাস টুখেলের দলে লুকাকুর জায়গা নিয়েও জানিয়েছেন শঙ্কা। বেলজিয়ান স্ট্রাইকারের সমালোচনায় বলেছেন, ‘নিজেকে লুকিয়ে রাখছেন লুকাকু। তার মাঝে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি আছে। দেখলে মনে হয়— সে অখুশি। দলের জন্য আরও অনেককিছু দিতে পারেন তিনি।’
চেলসির সঙ্গে চুক্তির পর প্রিমিয়ার লিগের ১৭ ম্যাচে পাঁচবার জালের দেখা পেয়েছেন লুকাকু। এমন পারফরম্যান্সে অনুমিতভাবেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। সেখানে ঘি ঢেলেছে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে তার নিষ্ক্রিয়তা।
সাটন বলছেন, ‘লুকাকু বল চায়নি। এটা আত্মবিশ্বাসের অভাব, দ্বিধা ও সন্দেহের প্রকাশ। বিশেষজ্ঞরা অন্য খেলোয়াড়দের দিকে দোষ চাপাচ্ছেন, এটা ঠিক। কিন্তু লুকাকু দায়সারাভাবে খেলছিলেন। এমনকি তার গতিবিধিও পরিষ্কার ছিল না।’
কদিন আগে, পুরনো ক্লাবের বন্দনা এবং টুখেলের সমালোচনায় মেতে জড়িয়েছিলেন বড় বিতর্কে। সেটার পরিধি দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে বেড়েছিল অনেকখানি। অন্যতম স্ট্রাইকারকে ছাড়াই লিভারপুলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলেছিল চেলসি। তবে সব শঙ্কা কাটিয়ে চেলসির হয়ে মাঠে ফিরে লুকাকু এবার পড়লেন আরেক বির্তর্কে।