ইউক্রেনের জিপোরিঝিয়ায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটলে তার ভয়াবহতা চেরনোবিল বিপর্যয়ের চেয়েও ১০ গুণ বেশি হতে পারে বলে সতর্কতা জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।
শুক্রবার ভোরের দিকে রুশ হামলায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর কুলেবা রাশিয়ান সৈন্যদের এই হামলা থামানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মুখপাত্র আন্দেরি তুজ জানিয়েছেন, রাশিয়ার হামলার কারণে জিপোরিঝিয়ায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির ৪০ শতাংশ পারমাণবিক শক্তিই সরবরাহ করা হতো এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।
ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে মস্কোপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন দিতে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শুরু করা বিশেষ অভিযানের কারণে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে লড়াই করে যাচ্ছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়া গোলাগুলি, বোমা বিস্ফোরণ, মিসাইল নিক্ষেপ করে, বেসামরিক নাগরিকদের বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের স্থান চেরনোবিলসহ বিভিন্ন বেজমেন্টে আত্মগোপনে বাধ্য করেছে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল সংঘটিত ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনাটি ‘চেরনোবিলের বিপর্যয়’ হিসাবে পরিচিত। চেরনোবিল বর্তমান ইউক্রেনের অন্তর্ভূত। এই পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় হিসেবে গণ্য করা হয়।
কুলেবা এক টুইট বার্তায় সকলকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, যদি জিপোরিঝিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটে তবে এর ভয়াবহতা হবে চেরনোবিলের চেয়ে ১০ গুণ বেশি।
তিনি এই বার্তায় আরও বলেন, রুশ সৈন্যরা প্ল্যান্টের সব দিক ঘিরে গোলাগুলি চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ান সৈন্যদের অবিলম্বে আগুন বন্ধ করতে হবে এবং একটি নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে হবে। যাতে করে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা কাজ করতে পারে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা ইতোমধ্যেই রাশিয়াকে ১৯৮৬ সালের চেরেনোবিল বিপর্যয়ের স্থানসহ সকল পারমাণবিক স্থাপনায় সকল আক্রমণ বন্ধের আবেদন জানিয়েছে।