মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ প্রায় শেষ। দ্বিতীয় দফায় চলছে ঘাস রোপনের কাজ। প্রথম দফায় ঘাস লাগানোর কয়েকদিন পরই পুরনো চেহারায় ফিরতে শুরু করে ‘হোম অব ক্রিকেট’। আরেকবার ঘাস ছাঁটাই করে পুরো মাঠ রোলিং করলেই হয়ে উঠবে খেলার উপযোগী।
জানুয়ারিতে শুরু হয় মাঠের সংস্কার কাজ। মাঠের উপরিভাগ থেকে ছয় ইঞ্চি পরিমাণ মাটি তুলে ফেলা হয় নতুন মাটি। এরপর লাগানো হয় ঘাস। মাটি তোলা ও ঘাস গজানোর মাঝের সময়টায় মাঠের দিকে তাকানোই যাচ্ছিল না! দেখে মনে হয়েছে যেন ধুধু বালুচর। এখন অবশ্য চেনা রূ ফিরেছে মাঠের।
সংস্কার কাজের মধ্যে ছিল মাটি তুলে মাঠের নিচে যেসব পাইপ বৃষ্টির পানি বাইরে সরিয়ে দেয়, সেগুলো পরিষ্কার ও মেরামত করা। মাটির নিচে থাকা জিও ট্যাক্স পাইপ, নেটিং সিস্টেম, বালু-পাথর ঠিকঠাক আছে কিনা; পরখ করা। এরপর নতুন করে বালু মাটি দিয়ে মাঠ ভরাট করে বারমুডা ঘাস লাগানো। এসকল কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।
মাঠের সংস্কার কাজে বিসিবির মাঠকর্মীদের সঙ্গে রাত-দিন খেটেছেন ভাড়াটে শ্রমিকরা। মূল কর্মযজ্ঞ শেষ হওয়ায় এখন কাজটা কেবল মাঠকর্মীদের। বিসিবির ট্রাকে চড়ে রায়েরবাজার থেকে আসছে দূর্বাঘাস। আয়রণ গেটের (স্টেডিয়ামের ভেতরের অংশে) সামনে বসে সে ঘাস রোপনের উপযোগী করতে ব্যস্ত মাঠকর্মীরা।
উইকেট নিয়ে কাজ না হওয়ায় আর তেমন কোন কাজ নেই সংস্কারের। মাঝমাঠের উইকেটগুলো ছিল সংরক্ষিত। দ্বিতীয় দফায় লাগানো ঘাস বড় হলে তা ছাটাই করে রোলিং করলেই পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে মাঠ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, ‘সংস্কার কাজের ফলে মাঠের আউটফিল্ড আরও দ্রুতগতির হবে। ভারী বৃষ্টি হলেও তা থামার পর মাঠ শুকাতে বা খেলার উপযোগী করতে লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। ড্রেনেজ ব্যবস্থা আগের চেয়ে আরও ভালো কাজ করবে।’
সংস্কারের ফলে মাঠে কতটা উন্নতি হলো; সেটি জানা যাবে আগামী ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে। গত ১০ মাস মিরপুরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। সবশেষ খেলা হয়েছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট।