কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১ হাজার ৮শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে পানের বরজ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরজ রয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায়। এ বছর অতিবর্ষণে পানে পচন রোগ দেখা গিয়েছে।
পানে পচন রোগ হওয়ায় এ বছর যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এর আগে অন্য কোনোবারই ততোটা ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন পানচাষীরা। এদের মধ্যে অনেকে ব্যাংক বা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পান বরজ করে এখন উভয় সঙ্কটে পড়েছেন। কোনোমতে যতোটুকু পান তুলতে পারছেন তাতে সংসারই চালানো সম্ভব নয় বলছেন কৃষকরা। নতুন করে পান বরজ করার কথা তারা ভাবতেও পারছেন না।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সরকার দেশের ৯ টি জেলার পান বিদেশে রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার অবস্থান শীর্ষে।
পানের বরজ রক্ষার জন্য পানে যেনো প্রখর রোদ না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবায়ের। তিনি বলেন, কৃষকরা অনেক সময় কাঁচা খৈলের গুঁড়া দেন। তার বদলে খৈল পচানোর পর তা শুকিয়ে গুঁড়ো করে দিতে হবে।
চুয়াডাঙ্গার তালতলা, হাজরাহাটি, শিয়ালমারি, বটিয়াপাড়া আসমানখালী, নানদোবার, গাংনীসহ বিভিন্ন গ্রামে এবার সবচেয়ে বেশি পান বরজ করা হয়েছে।