চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চুয়াডাঙ্গায় আমের ফলন ভালো, বিষমুক্ত রাখার অঙ্গীকার

চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রতি বছরই বাড়ছে আমবাগান। এবার জেলায় আমের ফলন ভালো হওয়ায় কমপক্ষে পঞ্চাশ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন বাগানমালিক ও ব্যবসায়ীরা। ভালো ফলনের পাশাপাশি বাজারে আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন তারা।

জেলার চার উপজেলায় এবার আমবাগান রয়েছে এক হাজার দু’শ ৭০ হেক্টর জমিতে। ১৫ হাজার পাঁচ’শ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। ভোক্তাদের কাছে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ আম তুলে দেয়ার ব্যাপারে এবার অনেক সতর্ক চাষী ও ব্যবসায়ীরা।

ফরমালিন মিশিয়ে কোনো জিনিস এখান থেকে বিক্রি হয় না বলে জানায় স্থানীয় আমচাষী এবং ব্যবসায়ীরা। সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ কোন কীটনাশক বা ঔষধও তারা ব্যবহার করেন না বলে জানান।

এবারে আমের ফলন খুব ভালো হয়েছে জানিয়ে একজন আম বাগান মালিক বলেন, এই আমগুলো ঢাকার কাউরানবাজার, বাদামতলী এবং চট্টগ্রাম ও খুলনাতে বিক্রি করবো।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় আম সব থেকে উন্নতমানের বলে দাবি করে একজন আম ব্যবসায়ী পাইকারি মূল্যে বোম্বাই, আটি জাতীয় আম ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান।

আম সংরক্ষনে একটি হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। জেলার আম ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, আম যাতে ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে পারি এবং ফরমালিনমুক্ত আম বিক্রি করতে পারি এই কারনে আমাদের চুয়াডাঙ্গা বাজারে যেনো একটা হাটের ব্যবস্থা করা হয়।

ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে আম পাকানো যাবে না, সুপ্রিম কোর্টের এমন নির্দেশনায় আম চাষী, ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকদের নিয়ে মতবিনিময়ের আয়োজন করেন স্থানীয় প্রশাসন।

চুয়াডাঙ্গার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নির্মল কুমার দে তাদের কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আম উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী এবং যারা ক্যামিকেল উৎপাদন করে তাদের নিয়ে সচেতনতামূলক একটি মিটিং করেছি এবং এখানে জানিয়ে দিয়েছি যে আম পাকানোর জন্য কোনো রকমের ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করা যাবে না।”

বেশিরভাগ বাগানেই রয়েছে আটি, বোম্বাই, হিমসাগর জাতের আম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।