এতদিন ধরে ক্লাব বিশ্বকাপ হয়ে আসছিল সাত দলের অংশগ্রহণে। সেখানে বদল আনছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফা। অংশ নেয়া দলের সংখ্যা বেড়ে হচ্ছে ২৪টি। ২০২১ সালে নতুন ফরম্যাটের প্রথম আসর বসবে চীনে। বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়েছেন, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
নতুন আসরের জন্য চীনের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এ সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট। এই পদক্ষেপকে ফুটবলে চীনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্যকে নির্দেশ করে এবং সেই পথ ধরে চীন দ্রুতই বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার আশা করবে।
সংহাইতে ফিফার কাউন্সিল শেষে ঘোষণাটি দেন ইনফান্তিনো। আগামী দুবছরের মধ্যেই বিশ্বের সেরা ক্লাবগুলো এবং তাদের সমর্থকরা চীনের মাটিতে পা রাখবে।
ফিফা প্রেসিডেন্ট আরও জানিয়েছেন, আসর আয়োজনে চীনকেই একমাত্র দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন ক্রীড়াঙ্গনে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং সরকার স্পোর্টসকে প্রথম জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছেন এবং আগামীতে বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষ্যে ১.৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ বিডে অংশ নিতে অনেক আগে থেকেই কাজ শুরু করেছে চীন।
ফিফা প্রধান গত জুনে বলেছিলেন, তার নতুন ক্লাব বিশ্বকাপ বাণিজ্যিক হিসাবে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে, যদিও তিনি এর কতটি সংস্করণ চালাবেন তা প্রকাশ করেননি। সূত্রের বরাতে বিশ্বের প্রভাবশালী একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে যে, ফিফা প্রধান যেটা বলেছেন সেই সংখ্যাটি ‘খুব কম বিশ্বাসযোগ্য’।
বর্তমানে সাতটি দল নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। ছয় দলের সঙ্গে সেখানে যোগ করা হয় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলকে। এখন ২৪ দলের আসরে আটটি দল থাকবে ইউরোপ থেকে। চলতি বছরের এবং ২০২০ সালের আসরটি বসবে কাতারে।
দুটি ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের মধ্যদিয়ে ২০২২ মূল বিশ্বকাপের অবকাঠামোগুলো যাচাই করে নেবে উপসাগরীয় দেশটি। এছাড়া সাংহাই মিটিংয়ে নারী ফুটবলে দ্বিগুণ ব্যয়ের কথাও বলা হয়েছে।