ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসের আশঙ্কায় চীনে বিধ্বস্ত হওয়ার বিমানের ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া’র বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলের মাটি প্রচুর পানি শোষণ করায় উদ্ধারকার্য আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ফ্লাইট নম্বর এমইউ৫৭৩৫ গত সোমবার ১৩২ জন আরোহী নিয়ে দক্ষিণ চীনের পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। সেখানে অনুসন্ধান চালিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও জীবিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিমানটি কেন বিধ্বস্ত হয়েছিল; তার কোনো কারণও জানা যায়নি।
এই বিমান বিধ্বস্তের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল প্রশাসন (সিএএ) সংবাদ ব্রিফিং করে আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের বিষয়ে অবগত করে।
তাতে সিএএ-এর বিমান নিরাপত্তা অফিসের পরিচালক ঝু তাও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে এখনো জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমরা এখনও দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য জানতে পারিনি।
এছাড়া বিমান নিয়ন্ত্রকরা বিমানটিকে অবতরণের সময় বারবার ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাননি বলে জানান তিনি।
উদ্ধারকারীরা এখন পর্যন্ত ৭৩৭-এর পোড়া ধ্বংসাবশেষের কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রকাশিত কিছু ছবিতে বিমানে থাকা ব্যক্তিদের চিঠি, মানিব্যাগ এবং পরিচয়পত্রের পোড়া অবশিষ্টাংশ দেখতে পাওয়া যায়।
এরই মধ্যে চায়না ইস্টার্ন তার সমস্ত বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানের উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করেছে এবং বিধ্বস্ত বিমানে থাকা ব্যক্তিদের তথ্য খোঁজার জন্য একটি হটলাইন প্রতিষ্ঠা করেছে৷
বিমান কর্তৃপক্ষ এখনও যাত্রী এবং ক্রু সদস্যদের শনাক্ত করতে পারেনি, তবে কিছু আত্মীয় স্থানীয় মিডিয়াকে এবং অনলাইনে তাদের শোক প্রকাশ করেছেন।
একজন নারী তার উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে নব-বিবাহিত স্বামী হারানোর কথা জানিয়ে অ্যাকাউন্টে তাদের ভ্রমণের কিছু ভিডিও আপলোড করেন।
অন্য যাত্রীদের মধ্যে এক কিশোরসহ ছয় জনের একটি দল ছিল যারা একটি অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে গুয়াংজুতে যাচ্ছিল বলে জানায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
এভাবে ওইদিনের বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে থাকা সকলের স্বজনরা তাদের খোঁজে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অপেক্ষা করছে বলে বার্তা প্রকাশ করছে।