চীনে জলাতঙ্ক রোগের টিকা পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন সেখানকার কর্তৃপক্ষ। এর আগে এসব পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে অস্থিরতা তৈরি হয় পুরো চীনে।
গত সপ্তাহে চীনা প্রতিষ্ঠান চ্যাংশেং বায়োটেকনোলজি কোংয়ের বিরুদ্ধে জলাতঙ্ক রোগের টিকায় উৎপাদন তথ্যে ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগ উঠে। এরপরই সেই প্রতিষ্ঠানকে এই টিকা উৎপাদন বন্ধ করার এবং আগের টিকাগুলো প্রত্যাহার করার আদেশ দেওয়া হয়।
যদিও এই টিকা নেওয়ায় এখনো কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এই স্ক্যান্ডাল বেশ উত্তেজনা তৈরি করে পুরো চীনে। রোববার চাইনিজ প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং এই ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।
সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, অবৈধ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা যারা হুমকির মুখে ফেলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিবো। আইন অনুযায়ীই আইনভঙ্গকারীদের সাজা হবে।
গত ১৫ই জুলাই চীনের স্টেট ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এসডিএ) ঘোষণা করে, চ্যাংশেং কোম্পানি বরফে পরিণত করা শুকনো জলাতঙ্ক টিকার উৎপাদন তথ্যে গড়মিল রয়েছে। শিনহুয়ার তথ্য অনুযায়ী, এক কর্মকর্তা বলেন, সেই কোম্পানি পণ্য উৎপাদন তথ্য ও পণ্য পরিদর্শন তথ্যে পরিবর্তনে এনেছে। সেই সঙ্গে উৎপাদনের সময়ে বিচ্যুতি পরিবর্তন প্রক্রিয়া পরিমিতি এবং সরঞ্জামও পরিবর্তন করা হয়েছে।
পরের দিন জিলিন প্রদেশ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে ২০১৭ সালে এই প্রতিষ্ঠানের ডিপথেরিয়া, টিটেনাস ও পেরটুসিস টিকাও ছিলো নিম্নমানের। তবে সেটার প্রায় ২৫০,০০০ ডোজ পূর্ব চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সেন্টারে বিক্রি করা হয়ে গেছে। এরপর এই কোম্পানিকে ৫১০,০০০ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও এসব টিকার কারণে এখনো কারো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে এসব নিম্নমানের টিকা কোনো না কোনোভাবে ব্যক্তিস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে চীনা সরকার। তাই টিকা প্রদানে এখন নেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ সতর্কতা।
চীনে এই ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৬ সালে অবৈধ টিকাচক্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ১০০ জনের মুখোশ উন্মোচন করা হয়।