চীনের জিয়ান শহরে এক কোটি ৩০ লাখ মানুষকে এখন ঘরবন্দী থাকতে হবে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরটিতে কঠোর লকডাউন জারি করা হচ্ছে।
২০২২ সালের অলিম্পিক চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বেশ কয়েকটি শহরে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সতর্কতার জন্য লকডাউন দিয়েছে।
৯ ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ২০০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দ্বিতীয় রাউন্ডের গণ পরীক্ষার পরে ১২৭টি কোভিড সংক্রমণ ১৪টি জেলা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যা ভাইরাসটির নিয়ন্ত্রণকে ‘গুরুতর এবং জটিল’ করে তুলেছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতি ২ দিন পর একটি পরিবারের মাত্র একজন সদস্যকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাইরে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। অপ্রয়োজনীয় সব ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ বাড়ায় শহরটির এক কোটি ৩০ লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হবে। বাসিন্দাদের প্রয়োজন না হলে শহর ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়। আর বিশেষ পরিস্থিতিতে ছাড়তে হলে যথাযথ প্রমাণ দেখাতে হবে।
জিয়ান শহর থেকে এরই মধ্যে দূরবর্তী বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন হাইওয়েতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জিয়ানের সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে।
চায়না ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সংক্রমণ বৃদ্ধি’, ‘গুরুতর ঘটনা’ এবং ‘প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি’ পেয়েছে। তবে, এটিকে উত্তর চীনের একটি ‘সাধারণ’ মৌসুমি রোগ বলা হয় এবং প্রধানত গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।