সাবেক ফুটবলার ইভান জামোরানো বলেই দিয়েছেন, ‘রেফারি চোর। ম্যাচটা চিলির কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নেয়া হয়েছে।’ খেলতে না পারা অধিনায়ক গ্যারি মেডেলও বলছেন, ‘যা হওয়ার হোক, তিনি বলবেনই।’ দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো রাখঢাক না রেখে বলে দিয়েছেন- ‘রেফারির কারণেই উরুগুয়ের কাছে ম্যাচটা হেরেছে চিলি।’
২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে শুক্রবার উরুগুয়ের মুখোমুখি হয়েছিল চিলি। ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে যায় তারা। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে উরুগুয়েকে গোল করানো, ডি-বক্সে হ্যান্ডবল না দেয়ার মতো ঘটনায় রেফারিকে একে একে ধুয়ে দিচ্ছেন চিলিয়ান ফুটবলাররা।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে সুয়ারেজের পেনাল্টি শট এগিয়ে দেয় উরুগুয়েকে। সেখান থেকেই বিতর্কের শুরু। প্রথমে কর্নারের সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা ভিএআরের মাধ্যমে পাল্টে পেনাল্টি দেয়া হয়।
ঠিক এরকমই একটি আবেদন চেয়েও পক্ষে পায়নি চিলি। ম্যাচ যখন ১-১ গোলে এগোচ্ছে, ডি-বক্সে উরুগুয়ে ডিফেন্ডার সেবাস্তিয়ান কোটের হাতে বল লেগেছে, চিলির এমন দাবির পর ভিএআরের সাহায্য নিয়ে তা এড়িয়ে যাওয়া করা হয়। পরে কোটের হাতে বল লেগেছে, এমন এক স্ক্রিনশট নিয়ে এখন শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এসব দেখে আর রাগ দমাতে পারেননি চোটের কারণে ম্যাচে নামতে না পারা চিলিয়ান গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। টুইটারে উগরে দিয়েছেন মনের আগুন, ‘আমি আপনাদের বিশ্বাস করি না, বিশেষ করে যখন এমনসব কাণ্ড ঘটে। ভয়ঙ্কর।’
‘যদি সঠিক সিদ্ধান্ত আসত, তাহলে আমরা পেনাল্টিতে ১-২ গোলে ম্যাচটা জিততে পারতাম। আর এরাই(রেফারি) খেলাটা মেরে দিলো। এমন হলে গোল করাই কঠিন হয়ে যাবে। দুর্ভাগ্য।’
চোটের কারণে খেলতে পারেননি একাদশে নিয়মিত মেডেলও। জরিমানা-নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে জেনেও রেফারিংয়ের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি কিছু বলছি না, কারণ এতে ঝামেলায় পড়তে পারি। তবে বলবো যা হয়েছে তা জঘন্য।’
দেশটির সাবেক ফুটবলার ইভান জামোরানোর ঝামেলার ভয় নেই। তাই সমানে রেফারিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ চালিয়ে যাচ্ছেন, ‘সাউথ আমেরিকা আর কতদিন এই ডাকাতি সহ্য করবে? আসলে চোরেরা ম্যাচটা উরুগুয়েকে উপহার দিয়েছে।’