চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাকাই ছবির শক্তিমান অভিনেতা সাদেক বাচ্চু। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে রাজধানির খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে সমাহিত করা হয় তাকে।
এদিন বিকেলে শিল্পী সমিতির তত্ত্বাবধানে সাদেক বাচ্চুর মরদেহ আল মারকাজুলে গোসল করানো হয়। তালতলা কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণত চলচ্চিত্রের কোনো অভিনেতার মৃত্যু হলে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এফডিসিতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সাদেক বাচ্চুর করোনা থাকায় তাকে এফডিসিতে আনার অনুমতি পায়নি শিল্পী সমিতি। তবে এই অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকেই সার্বক্ষিণক সহায়তায় জায়েদ খানসহ শিল্পী সমিতির প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
৫০ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সাদেক বাচ্চু বেতার, নাটক, চলচ্চিত্র, সর্বত্র কাজ করেছেন। তবে নব্বই দশকে এহতেশামের ‘চাঁদনী’ ছবিতে অভিনয়ের পর জনপ্রিয়তা পান খলনায়ক হিসেবে। এই পরিচয়েই দেশজুড়ে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সাদেক বাচ্চুর। এ ছবির পর তার নাম মাহবুব আলম থেকে হয়ে যাবে সাদেক বাচ্চু।
খলনায়ক ছাড়াও নানামুখী চরিত্রে দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন সাদেক বাচ্চু। তার অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘বিদ্রোহী’। সাদেক বাচ্চু তার অভিনয় ক্যারিয়ারে স্বীকৃতিস্বরূপ অসংখ্য সম্মাননার পাশাপাশি ২০১৮ সালে ‘একটি সিনেমার গল্প’–এর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।