বিপিএলের প্লে অফের এলিমিনেটর ম্যাচে অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির অনবদ্য ৫৫ রানের সুবাদে চিটাগং ভাইকিংসকে তিন উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী কিংস। এ জয়ে কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে জায়গা করে নিল ড্যারেন স্যামর দল রাজশাহী কিংস।
আগামীকাল ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে রাজশাহীর প্রতিপক্ষ হবে আজকের ঢাকা ও খুলনার মধ্যকার পরাজিত দল। অপরদিকে পরাজয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল চিটাগং ভাইকিংস।
চিটাগংয়ের দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯ বল বাকি রেখে ও সাত উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় উত্তরবঙ্গের দল রাজশাহী কিংস। এ দলটির মিডিয়া পার্টনার চ্যানেল আই।
১৪৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মুমিনুল হককে হারিয়ে শুরু করে রাজশাহী। শুভাশিষের বলে রাজ্জাককে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে হাঁটা দেন ৪ রান করা মুমিনুল।
পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই বিপিএলে অভিষেকেই বল হাতে চমক দেখানো আফিফ হোসেনকে সাজঘরে পাঠান রাজ্জাক। কিছুটা চাপে পড়া রাজশাহীকে এরপর টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাব্বির রহমান ও নুরুল হাসান সোহান।
কিন্তু সোহানের সঙ্গে ৩১ রানের জুটিতে অবদান রাখার পর টুর্নামেন্টের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান সাব্বির রহমান (১১) ক্যাচ দিয়ে উইকেট ছাড়লে আবারো বিপাকে পড়ে কিংসরা। সামিত প্যাটেলকে (৫) বোল্ড করে নবি সেই বিপদটা আরো বাড়িয়ে তুলেছিলেন রাজশাহীর জন্য।
দলীয় ৫৫ রানে শোয়েব মালিক ও জহুরুল ইসলামের সমন্বয়ে সীমানা থেকে দুরন্ত এক ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সেট ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান (৩৪)। দু্ই রান পরেই সাকলাইন সজীবের বলে বোল্ড হন ফ্যাঙ্কলিন (২)।
৫৭ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে নাজেহাল রাজশাহীর ইনিংস মেরামতে হাত দেন অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ও মেহেদি মিরাজ। এ জুটি দ্রুত ৩৭ রান যোগ করে।
দলীয় ৯৪ রানের মাথায় নিজের দোষে রান আউটের কবলে পড়েন মেহেদি মিরাজ (১০)।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালিয়ে যান ড্যারেন স্যামি। মাত্র ২৭ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন অধিনায়কোচিত অনবদ্য ৫৫ রান। শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ফরহাদ রেজাকে নিয়ে জয়ের বন্দরে গিয়ে উৎসবে মাতে রাজশাহী কিংস।
এরআগে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে এলিমিনেটর ম্যাচে তামিম ইকবালের ৫১ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪২ রান করে চিটাগং ভাইকিংস।
রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে কেসরিক উইলিয়াম চারটি উইকেট নেন। এছাড়া ফরহাদ রেজা নেন দুটি উইকেট।