বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে দিন দিন চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্তের পরিমাণ বাড়ছে। সারাদেশে ৫৭৭ জন ডাক্তার, ৩৭০ জন নার্স ও ৫৩৪ জন অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার রাতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শহিদ উল্লাহ বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত দেশে ডাক্তারসহ ১ হাজার ৪৮১ স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
অধ্যাপক ডা. শহিদ উল্লাহ বলেন, এপর্যন্ত সারা দেশে ৫৭৭ জন ডাক্তার, ৩৭০ জন নার্স, ৫৩৪ জন অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবাকর্মীসহ সর্বমোট ১ হাজার ৪৮১ জন কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী দেশে সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৯১ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯ জনে। মোট সুস্থ দুই হাজার ৯০২ জন।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৪২ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন দুই লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৫ লাখের বেশি মানুষ।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে এ ছুটির মেয়াদ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চতুর্থবারের মতো ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। দেশবাসীকে নিজ বাড়িতে থাকার আহ্বান জানানো হয়। পরে সেটাও বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। পরে পঞ্চমবারের মতো করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ১৬ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
ছুটির সময়ে অফিস-আদালত থেকে গণপরিবহন, সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল, জরুরি সেবা এই বন্ধের বাইরে থাকছে। জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।