রাজধানীর শাহআলী থানায় চা বিক্রেতা বাবুল মিয়ার অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে বাবুলের মৃতুর জন্য শাহ আলী থানার ২ এসআই, ১ এএসআই এবং ১ কনস্টেবলকে দায়ী করা হয়েছে।
দায়ী পুলিশ সদস্যরা হলেন উপ-পরিদর্শক মোমিনুর রহমান খান এবং নিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, সহকারি উপ পরিদর্শক দেবেন্দ্র নাথ এবং কনস্টেবল জসিম উদ্দিন।
ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান পুলিশের মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাসুদ আহমদ খান মিরপুর বিভাগের উপকমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাবুলের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
বাবুলের পরিবারের অভিযোগ, বুধবার রাত ৯টায় মিরপুর ১ নম্বর গুদারাঘাটে চাঁদা না পেয়ে পুলিশ চা বিক্রেতা বাবুল মাতব্বরের কেরোসিনের চুলায় বাড়ি মারে। এতে কেরোসিন ছিটকে বাবুলের গায়ে লাগে এবং আগুন ধরে যায়।
৯৫ শতাংশ পোড়া শরীর নিয়ে হাসপাতালে নিলে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পরিবার বলছেন, চাঁদা না দেওয়ায় পুলিশ বাবুলের ওপর চড়াও হয়েছিল। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।