চালের অবৈধ মজুদ পাওয়া গেলে মজুদকারীকে কারাগারে পাঠানো হবে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের কোথাও চালের সংকট নেই।
বুধবার বিকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো চালের সংকট নেই। তারপরও কোথাও যাতে কোন ঘাটতি না থাকে সেজন্য বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে।
তার দাবি, একটি মজুদদারি সিন্ডিকেট বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। ওই মজুদকারীদের ধরিয়ে দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বানও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসলহানির কারণে কম মজুদ ছাড়াও মিল মালিকদের সিন্ডিকেটবাজির জন্য চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে বলে পাইকারি বিক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারকে চাল আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বুধবার কারওয়ান বাজারে মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। মোটা চাল কেজি প্রতি ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা। এছাড়া, নাজিরশাইল ৬৫, চিনিগুড়া ৮৫ আর কাটারিবোগ ৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এক সপ্তাহে কেজিতে পাইকারি দামে দুই টাকা বাড়লেও খুচরা বাজারে কিছু ক্ষেত্রে ৬/৭ টাকা বেড়েছে।