চালের বাজার আগের চিত্রে ফেরাতে হলে চালের আমদানির ওপর সকল ভ্যাট উঠিয়ে দিতে হবে। বাইরে থেকে চাল আমদানি করা এবং সর্বোপরি চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ অাবু আহমেদ।
বর্তমানে খুচরা বাজারে মোটা চাল প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৮টাকা। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকায়। বিরি-২৮ বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়। তবে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেট। প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৬-৬০ টাকায়। কোথাও কোথাও ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার চালের আমদানির উপর ট্যারিফ ২৮ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আশ্বাস দিয়ে বলেছেন প্রতি কেজিতে চাল ৬ টাকা কমে যাবে। প্রতি কেজিতে চাল যদি ৬ টাকা কমে যায় তাহলে মোটা চাল প্রতি কেজিতে বিক্রি হবে ৪২ টাকায়। পাইজাম বিক্রি হবে ৪৪ টাকায়। বিরি-২৮ ৫৪ পরিবর্তে বিক্রি হবে ৪৮ টাকায়। বাজারে সবচেয়ে বেশি দামের চাল মিনিকেট বিক্রি হবে আনুমানিক ৫৪ টাকায়।
চালের আমদানির উপর ভ্যাট কমলে চালের বাজারে ভালো প্রভাব পড়বে এমনটি জানালেন কাওরান বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ী চাটখিল রাইস এজেন্সির মালিক বেলাল হোসেন। তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, চালের দাম প্রতি কেজিতে ৬ টাকা কমলে বাজার অনেক স্থিতিশীল হবে। চালের ওপর থেকে ভ্যাট কমে গেলে চাল পর্যাপ্ত পরিমাণে ঢুকবে। চালের আমদানির উপর কোনো ভ্যাট না থাকলে চাল পানির দামে বিক্রি হবে বলে জানান এ ব্যবসায়ী। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এ বছর চাল আমদানি কম হওয়ায় বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
চালের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সরকারের উদাসীনতাকে দায়ী করেছন অর্থনীতিবিদ অাবু আহমেদ। তিনি চ্যালেন আই অনলাইনকে বলেন, যেখানে সরকারি কোষাগারে ৫ থেকে দশ লক্ষ মেট্রিক টন চাল থাকার কথা সেখানে আছে ২ লক্ষ মেট্রিক টন। আর এ সুযোগ নিয়ে একদল লোভী চাল ব্যবসায়ীরা হাওরের বিপর্যয়ের কথা বলে চালের বাজার দ্বিগুণ করেছে।