রেকর্ড দশম শিরোপা জিততে ড্র করলেই চলত পিএসজির। লঁসের বিপক্ষে কঠিন প্রথমার্ধের পর লিওনেল মেসির বুলেট শট ব্যবধান বাড়ালেও জয় তুলতে পারেনি মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। তবে চার ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা জয়ের উৎসবের মেতেছে প্যারিসের দলটি।
ঘরের মাঠ পার্ক দি প্রিন্সেসে শনিবার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র করেছে পিএসজি। গোলখরা কাটিয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন মেসি। লঁসের হয়ে বদলি নেমে শেষ সময়ে হার এড়ান করেনটাইন জিন।
চলতি মৌসুমে টেবিলের দুইয়ে থাকা মার্সেই থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নিতে ১ পয়েন্ট দরকার ছিল মেসিদের। দ্বিতীয়ার্ধে দশজনের লঁসের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে এগিয়ে গেলেও শেষে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। কিন্তু মেসির গোলে আগেভাগেই উৎসবের উপলক্ষ তৈরি করে নিয়েছে প্যারিসের দলটি।
গত মৌসুমে লিলের কাছে শিরোপা হাতছাড়া হলেও এবার আগেভাগেই ‘ফ্রান্সের মুকুট’ নিশ্চিত করল পচেত্তিনোর দল। ফ্রান্সের শীর্ষ লিগের সবচেয়ে বেশি সেন্ট এতিয়েনের দশটি শিরোপা জয়ের রেকর্ড করল প্যারিসের দলটি। সমান সংখ্যক শিরোপা জয়ের রেকর্ড আছে মার্সেইওর।
কাতার স্পোর্টস ইনভিস্টেমেন্ট (কিউএসআই) প্যারিসের ক্লাবটির সাথে আসার পর নতুন মাত্রা পেয়েছে দলটি। শেষ ১১টি লিগের মাঝে আটটিতেই জিতেছে পিএসজি। মাউরিসিও পচেত্তিনো ক্লাবটির দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবার জিতলেন লিগ ওয়ানের শিরোপা।
ঘরের মাঠে শুরু থেকে আধিপত্য বজায় রাখলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরিতে ব্যর্থ হয় পিএসজি। দলকে এগিয়ে নেওয়ার বাধায় দায় আছে সুযোগ মিসেরও। ৬৫ শতাংশ বল দখলে রেখে পচেত্তিনোর শিষ্যরা ১৫টি শট নিয়েছে, লক্ষে ছিল সাতটি। বিপরীতে ছয়টি শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিল লঁস।
প্রথমার্ধ্বে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও সফল হয়নি কোনো দলই। দ্বিতীয়ার্ধ্বে ডেডলক ভাঙেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। ক্লাব ক্যারিয়ারে মেসি জিতলেন ৩৬তম শিরোপা জেতার দিনে দারুণ এক গোলে দলকে এগিয়ে দেন। ৬৬ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বল ২৩ গজ দূর থেকে লক্ষ্য ভেদ করেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
জয়ের সুবাসই পাচ্ছিল পিএসজি, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে সমতা ফেরায় লঁস। কিন্তু পিএসজির রেকর্ড শিরোপা জয়ের উদযাপন তাতে থেমে থাকেনি। টেবিলে ৩৪ ম্যাচে ২৪ জয় ও ৬ ড্রয়ে শীর্ষে থাকা পিএসজির পয়েন্ট ৭৮। এক ম্যাচ কম খেলে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মার্সেই।