চার বছর পেরিয়ে গেল। মাঝে অস্ট্রেলিয়া একবার এই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েই ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হল। কিন্তু কিউইদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য পাল্টালো না। একই ভেন্যুতে আগের আসরেও দুদলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল, সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডই ছিল সুবিধাজনক অবস্থানে; এবারও একই পরিস্থিতি। শুক্রবার বার্মিংহামের অসমাপ্ত লড়াই শেষে তাই যথারীতি একটি করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে তাসমানিয়া সাগরপাড়ের দুই প্রতিবেশী।
এজবাস্টনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ২০১৩ সালের আসরে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে মাত্র ২৪৩ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরে নিউজিল্যান্ড ১৫ ওভারে ২ উইকেটে ৫১ রান তোলার পর বৃষ্টিরহানা, শেষে আর খেলাই হয়নি। ২০১৭ সালের লড়াইয়ে আগে ব্যাট করেছে অবশ্য নিউজিল্যান্ড। তাদের ইনিংস খানিকটা এগোনোর পরই বৃষ্টি নেমেছিল। পরে কমে আসা ৪৬ ওভারের ম্যাচেও এক ওভার হাতে রেখেই ২৯১ রানে অলআউট কিউইরা। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসও বৃষ্টির কবলে পড়ে। অজিদের জন্য পরিবর্তিত লক্ষ্য ছিল ৩৩ ওভারে ২৩৫ রান। কিন্তু তারা ৯ ওভারে ৫৩ রান তুললেও ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে থাকার পর আর মাঠেই গড়াল না বল।
ম্যাচে বলা যায় সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল নিউজিল্যান্ডই। ওয়ার্নারকে (১৮) বোল্ট উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করার পর মিলনে ফিরিয়েছেন অ্যারন ফিঞ্চ (৮) ও হেনরিক্সকে (১৮)। অধিনায়ক স্মিথের সঙ্গে ম্যাক্সওয়েল যোগ দেওয়ার আগেই বৃষ্টি। হয়তো বড় বাঁচাই বেচে গেল অজিরা!
আর ম্যাচ হাতছাড়ার আফসোস কিউইদের। শুরুতে তিনশ পেরোনো সংগ্রহ গড়ার মত ভিত্তি থাকার পরও সেটি ছুঁতে পারেনি কিউইরা। শেষ ৯ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৬ রান তুলতে পেরেছে। আফসোসের প্রথম ধাপটা মিলেছে তখনই। পরে যেটা অবশ্য বোলাররা পুষিয়ে দিতে শুরু করেছিলেন।
তার আগে হ্যাজেলউডকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেছেন ব্যাটসম্যান বোল্ট। ইনিংসের শেষের দিকের এই উত্তেজনাটুকু ছাড়া পুরো ভাগেই কেন উইলিয়ামসনের বীরত্ব। ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক। ৮ চার ও ৩ ছয়ে ৯৭ বলে ঠিক ১০০তেই রান আউটে কাটা পড়েছেন।
বাকিদের মধ্যে লুক রঞ্চি দুবছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে একটা ওয়ানডে ফিফটি পেয়েছেন। ৯ চার ও ৩ ছয়ে ৪৩ বলে ৬৫ করে বড় ভিত্তির পথটা গড়েছিলেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানই। বাকিদের মধ্যে ৪৬ রানের ইনিংস এসেছে টেইলরের ব্যাটে। অ্যান্ডারসন (৮) ও নিশাম (৬) এদিন ব্যর্থ।
অজিদের হয়ে ৯ ওভারে ৫২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে একাই নিউজিল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন জস হ্যাজেলউড। দুটি উইকেট জন হ্যাস্টিংসের, একটি গেছে কামিন্সের দখলে।