খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে বছরে ৪ ফসল ধারায় আউশ ধান আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছে রংপুুরের কৃষক। জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে এ ধানের চাষকে আর্শীবাদ মনে করছেন তারা।
কৃষকদের বাড়তি আয়ের পথ করে দিয়েছে আউশ ধান। বোরো ধানের কর্তন ও আমন লাগানোর মধ্যবর্তী সময়ে পড়ে থাকা জমিতে স্বল্পমেয়াদী এ ধানের চাষ খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কাজের নিশ্চয়তা দিয়েছে অগণিত কৃষি শ্রমিকের।
চার ফসল ভিত্তিক ফসল বিন্যাস উদ্ভাবন প্রকল্পের আওতায়, সরিষা-বোরো-রোপা আউশ ও আমন ধান ফসল ধারা কৃষকদের লাভবান করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও ফসলি জমি কমে যাওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষকের মাঠে এ নিয়ে কাজ করছে কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের রংপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ।
উত্তরাঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানির সমস্যা সমাধানে বোরো আবাদ কমিয়ে এনে ডালসহ অন্যান্য লাভজনক ফসল চাষেরও পরার্মশ দিচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: রফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, রবি ফসল যেগুলো আছে পানি কম ছাড়াও গম, সরিষা ও আলু হতে পারে।
এবং বর্ষাকালে ধানের ওপর বেশি জোরদার দেওয়া কৃষকদের প্রতি। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চার ফসল ধারার ফসল চাষ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গ্রামে গ্রামে আয়োজন করা হচ্ছে মাঠ দিবস।