চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চার দেশের সড়ক সংযোগ চুক্তি সই

অনেকদিনের স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল এবং ভুটানের প্রায় দেড়শ কোটি মানুষ। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে চার দেশের মধ্যে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগে রূপরেখা চুক্তি সই হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নে মন্ত্রীরা ছয় মাসের কর্মপরিকল্পনাও গ্রহণ করেছেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে চলতি বছরের শেষদিকে মূল চুক্তি সই হলে আগামী বছর থেকে চার দেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রীবাহী যান চলাচল শুরু করতে পারবে।

বাংলাদেশের পক্ষে ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ভুটান, নেপাল এবং ভারতের মন্ত্রীরাও তাদের দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

আগামী বছরকে টার্গেট করে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগের রূপরেখা মন্ত্রীরা সই করার সময় তাদের পাশে পরিবহন সচিবরাও ছিলেন।

স্বপ্ন পূরণের পথে চুক্তি সইয়ের আগে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক উদ্বোধন করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টবগে। ভুটানের যোগাযোগমন্ত্রী দিনা নাথ ঢুংইয়েলের সভাপতিত্বে শুরু হয় বৈঠক।

উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এরপর নেপালের পরিবহন মন্ত্রী বিমলানদ্র নিদহি এবং ভারতের যোগাযোগমন্ত্রী নিতিন জয়রাম গাডকারি তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

চার মন্ত্রীর বক্তব্যের পর চুক্তির বিষয় এবং মন্ত্রীদের যৌথ ঘোষণা নিয়ে কারো কোনো আপত্তি না থাকলে সই হয় ঐতিহাসিক সড়ক যোগাযোগ চুক্তি।

ছয় মাসের মধ্যে সবকিছু ঠিক করে আগামী বছর থেকে শুরু হতে পারে চার দেশের মধ্যে সড়কপথে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন। চার দেশের মধ্যে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ বাস্তবায়নের আগে অক্টোবর মাসে দেশ চারটির মধ্যে হবে গাড়ি শোভাযাত্রা।

দীর্ঘদিন ধরে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ সহজ করার চেষ্টা হচ্ছিলো। কিন্তু পারস্পরিক বিশ্বাসহীনতার কারণে এতোদিন তা হয়ে ওঠেনি।

এখন চার দেশের মধ্যে যে চুক্তি তার বাইরে সার্কের অন্য দেশেরও আসার সুযোগ রয়েছে। আবার কোনো দেশ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে সে সুযোগও রাখা হয়েছে চুক্তিতে।

আঞ্চলিক যোগাযোগে এ ট্রানজিট সুবিধার বাইরে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় দু’ দেশের মধ্যে সড়ক, রেল, নৌ এবং আকাশপথে যোগাযোগ আরো সহজ করতে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।

খসড়া চুক্তি অনুযায়ী চারদেশের মধ্যে চলাচলকারী যানবাহনগুলোর বৈধ মালিকানা, ফিটনেস ও ইন্সুরেন্সের হালনাগাদ দলিল থাকতে হবে। চালকেরও স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক লাইসেন্স ও যাত্রীর বৈধ ভ্রমণ দলিল থাকতে হবে।

ব্যক্তিগত, যাত্রী ও পণ্যবাহী যানের জন্য আলাদা আলাদা ফরম পূরণ করে এই চার দেশের মধ্যে চলাচল করা যাবে। বাণিজ্যিক গাড়ির জন্য দীর্ঘমেয়াদি অনুমোদন প্রয়োজন হলেও, ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ভ্রমণের জন্য লাগবে সাময়িক অনুমোদন।