বরিশালকে ৮২’তে অলআউট করে ১৫১ রান তুলেছিল রাজশাহী। ৬৯ রানের লিডই যে জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে তা কে জানত! দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশালকে ৬০ রানে গুটিয়ে রাজশাহী ম্যাচ জিতে নিয়েছে ইনিংস ও ৯ রানের ব্যবধানে।
চার দিনের ম্যাচ শেষ হয়েছে মাত্র চার সেশনে। অদ্ভুতুড়ে ম্যাচটি হয়েছে বিকেএসপিতে। জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটি শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে।
বরিশাল-৮২ ও ৬০, রাজশাহী-১৫১
১ উইকেটে ২৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা বরিশাল ৩৪ ওভার খেলে ৬০ রানে গুটিয়ে যায়। মইনুল ইসলাম ২৮ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি করেন ১৪ রান। বাকিদের কেউ দুইঅঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
একাই ৬ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
সানজামুল প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। ম্যাচে নিয়েছেন ১০ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ষষ্ঠবার ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার হল তার।
বিকেএসপির স্পিনস্বর্গে প্রথমদিনে উইকেট পড়েছিল ২১টি। শুরুতে ব্যাট করা বরিশাল একশর আগেই গুটি যায় তাইজুল ও সানজামুলের ঘূর্ণিতে। দুই বাঁহাতি স্পিনার নেন ৪টি করে উইকেট। দুটি উইকেট নেন পেসার মোহর শেখ।
মঈন খান করে সর্বোচ্চ ১৮ রান। বরিশালের ইনিংস দীর্ঘ হয় মাত্র ২৯.৩ ওভার।
এক সেশনে বরিশালকে অলআউট করা রাজশাহী দুই সেশন পুরো ব্যাট করতে পারেনি। দিনের খেলা খানিকটা বাকি রেখে দেড়শ পেরিয়ে গুটিয়ে যায়। জুনায়েদ সিদ্দিক ৪৩ ও তানজিদ হাসান তামিম করেন ৩৬ রান।
৮৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসা রাজশাহী একশর আগেই গুটিয়ে যেতে পারত। শেষে তাইজুল ইসলাম ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে যাওয়ায় সেটি হয়নি। এ বাঁহাতির ৩৭ রানের লড়াই দলকে এনে দেয় লিড।
৬ উইকেট নিয়েছেন বরিশালের অফস্পিনার সোহাগ গাজী। ২৩ ওভার বোলিং করে দেন ৬৫ রান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ইনিংসে গাজীর ৫ উইকেট ২২তম বার।