স্কোয়াডে ইনফর্ম চার ওপেনার থাকায় মধুর সমস্যায় পড়েছিল বাংলাদেশ। সমাধানটাও হল মধুর। উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে খেললেন চারজনই। শুরুর তিন পজিশনে ছিলেন তামিম ইকবাল, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস। ছয়ে খেলেছেন সৌম্য সরকার।
ইমরুল (৪) ছাড়া সবাই পেরিয়েছেন দুঅঙ্কের ঘর। তামিম ১২, লিটন ৪১, সৌম্য ১৯। তিন ক্রিকেটারই ছিলেন ২২ গজে সপ্রতিভ। অবশ্য লিটন ছাড়া ইনিংস টেনে নিতে পারেননি অন্যরা। শেষ পর্যন্ত মিডলঅর্ডারে মুশফিকুর রহিম ও লোয়ার-মিডলে নামা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে টাইগাররা।
১৯৬ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায়ও মিডলঅর্ডারকেই বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে হয়েছে। যে কারণে ম্যাচ শেষে উঠে এল প্রশ্নটি, চার ওপেনার কি পরের দুটি ওয়ানডেতে ধরে রাখা সম্ভব হবে? জবাবে মাশরাফী খোলাসা করলেন দলের ভাবনা-চিন্তার কথা।
‘আমাদের তিন নম্বর পর্যন্ত ইমরুল আছে। সাকিব পাঁচে নেমে এসেছে। সৌম্য ছয়-সাতে নামবে। ছয়-সাতে যারা নামে শটস খেলার সামর্থ্য থাকে, মিঠুনের নেই তা না। কিছুটা সহজ হয়েছে সাকিব পাঁচে ব্যাট করাতে। যেহেতু সাকিব পাঁচে ব্যাট করছিল, সেহেতু মিঠুন অথবা সৌম্য, এক্ষেত্রে সৌম্যর কাছে কিছু ওভার যদি পাওয়া যায়। আর শেষদিকে লেফট-রাইট কম্বিনেশন করা ছিল। সাকিব আউট না হলে রিয়াদ সৌম্যর আগে নামত।’
‘মিঠুনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বলবো ও খুব আনলাকি। যে ফর্মে ছিল সেখান থেকে তার খেলতে না পারা দুর্ভাগ্যের। ও পাঁচে ব্যাটিং করেছে, ছয়ে পারবে না তাও না। সাকিব পাঁচে থাকায় ওখানে হেভি ব্যাটসম্যান রাখতে পারলে সুবিধা হত, এই ফরম্যাটে। কিন্তু কোনকিছুই আসলে নিশ্চয়তা দেয় না। তবে শীর্ষ তিনে এদের চার জনের তিন জনেরই খেলার সম্ভাবনা বেশি। যেহেতু এই মুহূর্তে বাইরে ওইরকম কেউ নেই। বেশিরভাগ ম্যাচই এরা খেলে আসছে। এদের চার জন থেকে তিন জন খেলার সম্ভাবনাই বেশি।’