‘ঢাকা অ্যাটাক’ এ গোয়েন্দা বাহিনীর চৌকষ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করে আবারও সবার প্রশংসায় ভাসছেন জনপ্রিয় অভিনেতা শতাব্দী ওয়াদুদ। সোমবার চ্যানেল আই অনলাইনের ফেইসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন মঞ্চ, টিভি নাটক ও বড় পর্দার এই শক্তিশালী অভিনেতা। এখানে তার অভিনীত আলোচিত ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমা ছাড়াও অকপটে বলেছেন তার শৈশব, পরিবার, এবং গোটা অভিনয় জীবনের নানা অজানা কথাও-
‘ঢাকা অ্যাটাক’ এর সাফল্যে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি। দর্শক একাধিকবার দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ‘হাউজফুল’ থাকছে প্রতিটি হল। জানালেন, তিনি নিজে এরই মধ্যে চারবার দেখেছেন দীপঙ্কর দীপনের ‘ঢাকা অ্যাটাক’। দর্শকের দৃষ্টি থেকে একে দুর্দান্ত বলে অভিহিত করলেও, অভিনেতার দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবারই নিজের খুঁত বের করেছেন শতাব্দী। এই চলচ্চিত্রের সাফল্য নিজের কাজের প্রতি দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলেন তিনি।
আড্ডার মাঝেই তিনি জানালেন ছোটবেলায় ঢাকার গ্রীনরোড স্টাফ কোয়ার্টারে বেড়ে ওঠার কথা। ছোটবেলায় ইচ্ছে ছিল ক্রিকেটার হবার, ক্রিকেট নিয়ে এখনও উন্মাদনা কমেনি তাঁর। অভিনয়ের বাইরে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করেন তিনি।
ভক্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে শতাব্দী ওয়াদুদ জানালেন ছোট পর্দায় কম উপস্থিতির কারণও। বড় পর্দায় ব্যস্ততা বাড়লেও সময় পেলেই ছোট পর্দার কাজ করেন তিনি।
কাজের ব্যাপারে দারুণ খুঁতখুঁতে শতাব্দী যে কোন চরিত্র নিয়ে নিজে প্রস্তুতি নেন বেশ সময় নিয়েই। অজ্ঞাতনামা, গেরিলা, বাপজানের বায়োস্কোপে অভিনয় করা এই শক্তিমান অভিনেতা জানালেন প্রতিনিয়ত তাঁকে নিজের সাথে নিজের প্রতিযোগিতা চালাতে হয়। প্রতিবার নিজেকেই ছাপিয়ে যেতে চান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শতাব্দী।
তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় শতাব্দী ওয়াদুদ। শৈশবে খেলাধুলার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের, বিশেষ করে বাবার অনুপ্রেরণা ছিল সবচেয়ে বেশি। শতাব্দীর কাজের সবচেয়ে বড় সমালোচকও তাঁর বাবা। শতাব্দীর ব্যস্ততা কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানে সময় কম দিতে পারাকে পরিবারের সবাই মেনে নিয়েছেন সবসময়ই। স্ত্রী নৃত্যশিল্পী স্নাতা শাহরিনও তাঁর ব্যস্ততাকে সম্মান করেন বলেই শান্তিতে কাজ করে যেতে পারছেন তিনি।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নতুন সুখবরও দিলেন শতাব্দী। জানালেন, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে খুব শিগগির প্রবাসী বাঙালিদের জন্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের দর্শকরাও কিছুদিনের মধ্যেই দেখতে পাবেন ‘ঢাকা অ্যাটাক’।
বাংলা চলচ্চিত্র দেখতে দর্শকদেরকে অনলাইনে ছবি না দেখে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সবাই মিলে মজা করে সিনেমা দেখতেও আহবান জানিয়েছেন শতাব্দী। মুক্তির প্রতীক্ষায় থাকা ‘ডুব’, ‘গহীন বালুচর’, ‘হালদা’ও দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করে সফল হবে বলে আশা রাখেন তিনি।
চ্যানেল আই অনলাইনের ফেসবুক লাইভে শতাব্দী ওয়াদুদ: