করোনা সংক্রমণ আবারও মারাত্মক হারে বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনে যাচ্ছে সারাদেশ। এ অবস্থায় সিনেমার শুটিং করা যাবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট সংশয়। বিষয়টি ভাবাচ্ছে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নব-নির্বাচিত কমিটিকে। তবে ইতোমধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, লকডাউনে ঝুঁকি নিয়ে শুটিং করা বাধ্যতামূলক নয়। কোনো পরিচালক শিল্পী টেকনিশিয়ানদের বাধ্য করতে পারবেন না। ঝুঁকি নিয়ে শুটিং করলে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে ওই শুটিংয়ে দায়ভার নিয়ে হবে সংশ্লিষ্ট পরিচালককে।
রবিবার বিকেলে চ্যানেল আই অনলাইনকে এমনটাই জানিয়েছেন পরিচালক সমিতির উপমহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা।
কবিরুল ইসলাম রানা বলেন, চাপ দিয়ে কাউকে শুটিং করানো যাবে না। স্বেচ্ছায় শুটিংয়ে আগ্রহী হলে নিজেদের সুরক্ষা বিবেচনা করতে সেই ইউনিট শুটিং করতে পারবে। তবে অবশ্যই তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিং করতে হবে। তবে শুটিং করা বার্ধ্যতামূলক নয়।
‘সিনেমার শুটিং মানেই বড় ইউনিট। মানুষের সমাগম। এতে করে কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব সেটিও প্রশ্ন থেকে যায় বলে মনে করেন কবিরুল ইসলাম রানা।
তিনি বলেন, এত কড়াকড়ি বা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমার পক্ষে শুটিং সম্ভব নয়। ৯ এপ্রিল থেকে আমার নতুন সিনেমায় শুটিং ছিল। বাতিল করেছি। আমার জানা মতে, অনেকেই লকডাউনের কারণে শুটিং বাতিল করছেন।
লকডাউনের কারণে শুটিং বাতিল করেছেন ‘মুখোশ’ সিনেমার পরিচালক ইফতেখার শুভ। যেখানে অভিনয় করছেন মোশাররফ করিম, পরীমনি, রোশান, প্রাণ রায় প্রমুখ।
পরিচালক বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে শুটিং স্থগিত করেছি। নইলে ৮ এপ্রিল শুটিং করাতাম। লকডাউন শিথিল হলে ঈদের পর বাকি শুটিং সম্পন্ন করবো। আমাদের মূলত অল্প ক’টি দৃশ্য আর গানের শুটিং বাকি আছে। এক সপ্তাহ সময় পেলে এটিও শেষ করতে পারতাম। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গতকাল রাতে সবাই মিলে প্যাকআপের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, সুস্থ থাকলে প্রচুর কাজ করা যাবে।
লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকার কথা জানা গেলেও সিনেমা হল বন্ধ থাকবে কিনা, পরিস্কার কিছু জানায়নি প্রদর্শক সমিতি। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আওয়াদ হোসেন উজ্জ্বল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, সিনেমা হল বন্ধ থাকবে কিনা, সরকারি তরফ থেকে এখনো আমাদের জানায়নি। তাই আমরা সিনেমা হল চালু রাখছি। তবে অনেক জেলায় ডিসির নির্দেশে সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু আমরা সরকারি নির্দেশনায় উপর নির্ভর করছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের আরও কিছু জেলার সিনেমা হল বন্ধ রাখা হয়েছে।