চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হন্ডুরাসের অভিবাসন চুক্তি সই

গুয়েতেমালা ও এল সালভাদর এর পর এবার হুন্ডুরাসও ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন চুক্তি সই করতে বাধ্য হলো।

ডোনাল্ট ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি অনুযায়ী, এই চুক্তি সই হয়েছে। মূলত নিজ দেশে অভিবাসী ঠেকানোর কৌশল হিসেবেই ট্রাম্পের এই চুক্তি।

চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থনার আবেদন ছাড়া অভিবাসী হিসেবে প্রবেশ করতে পারবে না। হন্ডুরাস থেকে যারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চায় তাদের সবাইকে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।

চুক্তির আওতায়, দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে যেসব হন্ডুরাসবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে চায়, তাদেরকে ফেরত পাঠাতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে সমালোচকরা বলছেন, বিশ্বের সবচেয়ে হিংস্রতা ও দরিদ্রের দেশ হন্ডুরাস, যারা দেশ থেকে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে তাদেরকে সেখানে ফেরত পাঠানো কোনোভাবেই নিরাপদ হবে না। এর আগে গুয়েতেমালা এবং এল সালভাদর একই ধরনের চুক্তি সই করেছে। মার্কিন প্রশাসনের চাপে পড়ে এটা করেছে তারা।

মার্কিন নতুন অভিবাসন নীতি অনুযায়ী ভিসা ও সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করে নিজ দেশে বিদেশি নাগরিকদের আগমন ঠেকাতে চাইছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বাস, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শ্রমিক কমবে। এই নীতির অধীনে ট্রাম্প সরকার বহু বিদেশি নাগরিকের কর্ম ভিসার আবেদন বাতিল করে দিচ্ছে। এ ছাড়া আবেদনকারীদের কাছে বারবার বাড়তি তথ্য চেয়ে ভিসা কার্যক্রমের গতি ধীর করা হচ্ছে।

এই ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি নিরাপদ তৃতীয় দেশে চায়, যেখানে মার্কিন যুক্তাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীরা অবস্থান করে অভিবাসী হওয়ার জন্য আবেদন করবে।

এক্ষেত্রে দেশটি মেক্সিকোকে ‘নিরাপদ তৃতীয় দেশ’ হিসেবে দেখতে চায়। এই ব্যবস্থায় অভিবাসীরা মেক্সিকোতে ঢোকার পরই যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য আবেদন করবে। সেখানেই তাদের আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

ট্রাম্প চায়, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমানা দিয়ে আসা অভিবাসীর সংখ্যা হ্রাস করতে দ্রুত।

এই সীমান্ত দিয়ে আগতদের বেশিরভাগ হচ্ছে -হন্ডুরাস, গুয়েতেমালা এবং এল সালভাদর এর লোকজন।  তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসে নতুন জীবন শুরু করার প্রচেষ্টা থেকে অনেক দীর্ঘ এবং বিপদজ্জনক ভ্রমণ করছে।

২০১৯ এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ৮১১,০১৬ জনকে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে আটক করা হয়, এর মধ্যে প্রায় ৫৯০,০০০ এল সালভাদর, গুয়েতামালা এবং হন্ডুরাস থেকে আগত।