চট্টগ্রাম থেকে: চাচা ইনজামাম-উল-হকের পুরো বিপরীত ভাতিজা ইমাম-উল-হক। দৈহিক গড়ন, ব্যক্তিত্ব, খেলার ধরনে চাচা-ভাতিজা দুই মেরুতে। খেলোয়াড়ি জীবনে ইনজামাম সবসময় মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে চাইতেন। কিছুটা গম্ভীর ও অল্প কথার মানুষ হিসেবেই তাকে চিনত সবাই। ইমাম সেখানে বেশ হাসিখুশি। সংবাদমাধ্যমের সামনেই সবচেয়ে বেশি প্রাণবন্ত। কথা বলেন মন খুলে।
ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলতে বাংলাদেশে এসেছেন প্রতিভাবান এই তরুণ। কক্সবাজারে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে টানা সেঞ্চুরি করে প্রতিভার নিদর্শন দেখিয়েছেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান ইমাম।
ইনজামাম ব্যাট করতেন মিডলঅর্ডারে। ইমাম করেন ইনিংসের সূচনা। ইনজামাম ডানহাতি ব্যাটসম্যান আর ইমাম বাঁহাতি।
চাচার মতো বড় ক্রিকেটার হওয়ার মনছবি নিয়ে খেলাধুলায় আসেননি ইমাম। তার ক্রিকেটে আসার গল্পটা একটু ভিন্ন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটার পিনাক ঘোষের মতো। পিনাক ওজন কমাতে ছোটবেলায় ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। ইমামের ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। মুটিয়ে যাওয়ায় বাবা ইনসারাম-উল-হক পরামর্শ দেন বড় ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে যেতে। ধীরে ধীরে ইমাম হয়ে ওঠেন পেশাদার ক্রিকেটার। এখনকার শারীরিক গড়ন দেখার মতো। শরীরের কোথাও মেদ নেই।
ইমামের বড় ভাই খেলা ছেড়েছেন অনেক দিন হলো। ধরে রেখেছেন ইমাম। এখন তার স্বপ্ন জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। চ্যানেল আই অনলাইনকে বললেন সেই স্বপ্নের কথা, ‘আমি দেশের হয়ে অবদান রাখতে চাই। এটাই আমার স্বপ্ন। তবে আমার তাড়াহুড়ো নেই। যখন জায়গা করে নিব চিন্তা থাকবে যেন নিয়মিত দলে থাকতে পারি। একটা-দুইটা সিরিজ খেলে দল থেকে বের হয়ে গেলাম এমনটা আমি কখনই চাই না। লম্বা সময় ধরে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই।’
ইনজামাম-উল-হক এখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নির্বাচক। এজন্যই নাকি চাপে থাকেন ইমাম-উল-হক। এ নিয়ে বললেন, ‘আমি চাচার ব্যাটিং দেখে বড় হয়েছি। তিনি একজন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। পুরো বিশ্বই এটি স্বীকার করবে। চাচা এখন পিসিবির প্রধান নির্বাচক। আমার ওপরে তাই চাপটা বেশি। সংবাদমাধ্যমে এ নিয়ে অনেক কথা হয়। তিনি কিন্তু ক্রিকেট নিয়ে আমার সঙ্গে তেমন কথা বলেন না। শুধু বলেন, খেলাটা উপভোগ কর। নিজের ওপর আস্থা রাখ।’