নিজের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে চুক্তির মেয়াদ আরও দু’বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু মিকি আর্থারের অনুরোধে সাড়া না দিয়ে উল্টো তাকেসহ পুরো কোচিং স্টাফকেই ছাঁটাই করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। চাকরি হারিয়ে পরে পিসিবিকে পাল্টা তোপ দেগেছেন আর্থার।
পিসিবির এই সিদ্ধান্তে খুবই ‘হতাশ এবং আহত’ হয়েছেন আর্থার। একটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাকে বরখাস্তের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমনই বলেছেন সাউথ আফ্রিকান এ কোচ।
ইংল্যান্ডের কোচ হওয়ার গুঞ্জনের মধ্যেই আর্থার বলছেন, নিজের সেরাটা দিয়েও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া হতাশার, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ এবং আহত। আমি পাকিস্তান ক্রিকেটকে তুলে আনার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়েছি।’
গত মাসের বিশ্বকাপের পরপরই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় আর্থারের। বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে যায় পাকিস্তান। অল্পের জন্য সেমিফাইনালে যেতে পারেনি সরফরাজের দল। নিউজিল্যান্ডের সমান ১১ পয়েন্ট থাকা সত্ত্বেও নেট রানরেটের হিসাবে বাদ পড়তে হয় তাদের।
বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স রিভিউয়ের জন্য ডাকা পিসিবির বৈঠকে চুক্তির মেয়াদ দুবছর বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন আর্থার। সেটা নাকচ করে দেয়া হয়। পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানি আর্থারসহ বাকি তিনজন- বোলিং কোচ আজহার মেহমুদ, ব্যাটিং কোচ গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার ও ট্রেইনার লুডেনের চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর কথা জানিয়ে দেন।
নতুন নিয়োগের জন্য পিসিবি দ্রুতই বিজ্ঞাপন দেবে বলেও জানান মানি।
২০১৬তে পাকিস্তান দলের সঙ্গে যোগ দেন আর্থার। এরপরই ইংল্যান্ডের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ ড্র করে এবং তার সময়েই টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের একনম্বর হয়েছিল পাকিস্তান। এই আর্থারের আমলেই ২০১৭তে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জেতে সরফরাজ আহমেদের দল। তাছাড়া টি-টুয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়েও একনম্বরে আছে পাকিস্তান।
তবে সামগ্রিক ফলাফল বিচার করলে চিত্রটা অন্যরকম। গত দু’বছর ধরে টেস্টে খুব বাজে সময় যাচ্ছে পাকিস্তানের। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো নিজেদের ‘দ্বিতীয় হোম ভেন্যু’তে শ্রীলঙ্কার কাছে ২-০তে সিরিজ হেরেছে। সবশেষ ২৮ টেস্টে মাত্র ১০টিতে জিতেছে, ১৭টিতেই হার।
আর্থারের আমলে ওয়ানডেতে জয়ের হার ৫০ শতাংশের নিচে। এই সময়ে ৬৬ ম্যাচে জয় ২৯টিতে, ৩৪টিতে হার, তিনটিতে কোনো ফল হয়নি।