তরুণ প্রজন্মকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ার নামে ধূমপানে আকৃষ্ট করতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রোড শো’র আয়োজন করছে বলে দাবি তামাকবিরোধী সংগঠন প্রগতির জন্য জ্ঞান-প্রজ্ঞার।
আর এবারের টার্গেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ ২ সেপ্টম্বর ঢাবিতে বিএটিবি একটি রোড শো আয়োজন করতে যাচ্ছে।
প্রজ্ঞার দাবি, চাকরি দেয়ার নামে প্রতিবছরের মতো এবারও ‘ব্যাটল অব মাইন্ড ২০১৯’ এর কার্যক্রম শুরু করেছে এই বহুজাতিক তামাক কোম্পানি।
এরই মধ্যে প্রতিযোগিতাকে ঘিরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রোডশো শুরু হয়েছে, চলছে নিবন্ধন। চলতি মাসের ৭ তারিখে আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতার যাত্রা শুরু হয় এবং ইতোমধ্যে বিএটিবি আরো তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, এমআইএসটি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) রোডশো আয়োজন শেষ করেছে।
‘এভাবেই আগামী কয়েক মাস জুড়ে নানা আয়োজন ও প্রচারণার মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতা চলতে থাকবে বলে দাবি করছে প্রজ্ঞা।
তাদের দাবি, বিএটিবি ২০০৪ সাল থেকে মূলত ব্রান্ড প্রমোশন, তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে আকৃষ্ট করা এবং নীতিপ্রণেতাদের প্রভাবিত করতে এই মৃত্যুবিপণন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে।
কর্মসংস্থান সুযোগের নামে কোম্পানিটি প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতা আয়োজনে বিপুল অর্থ ব্যয় করে থাকে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিগত ১৬ বছরে চাকরি দেয়ার নামে ৩০ হাজারের অধিক তরুণকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো হলেও চাকরি পেয়েছে মাত্র ১০০ জন বা এর সামান্য কিছু বেশি।
প্রজ্ঞা বলেছে: ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এর ৫(গ) ধারায় তামাক কোম্পানির নাম, সাইন, ট্রেডমার্ক, প্রতীক ব্যবহার করে এ ধরনের কোন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বহন ও পুরস্কার প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আইনের এই ধারা লঙ্ঘন করলে অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা অনুর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে।
‘বিএটিবির এ ধরনের কার্যক্রম এক সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ২০৪০ সালের তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের পরিপন্থী উল্লেখ করে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ‘ব্যাটল অব মাইন্ড’ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে প্রজ্ঞা।