রাজধানীর উত্তরার এসএ পরিবহনের অফিস থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় বাংলাদেশ আনসারের খন্ডকালীন চাকরি করা দুজন জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৩।
এছাড়াও তারা এসএ পরিবহনের দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে।
শনিবার বিকালে রাজধানীর উত্তরায় এসএ পরিবহনের অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-৩-এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান।
তিনি বলেন, শুক্রবার এই বিপুল সংখ্যক ইয়াবা ট্যাবলেট চট্টগ্রামের একটি এসএ পরিবহনের অফিস থেকে ঢাকায় পাঠানোর জন্য পার্সেল বুকিং হয়। পরে শনিবার এগুলো ঢাকার উত্তরার এসএ পরিবহনের অফিসে পৌঁছায়। এর সঙ্গে জড়িত কাশেম ও মোরশেদ নাম দুই জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। কাশেম ও মোরশেদ বাংলাদেশ আনসারে খণ্ডকালীন সদস্য। তারা বছরের ৬ মাস আনসার সদস্য হিসেবে কাজ করে আর বাকি ৬ মাস বাধ্যতামূলক অবসরে থাকে। তারা আনসারে চাকরির আড়ালে সারা বছরই ইয়াবা পাচারের ব্যবসা করে আসছিল।
এমরানুল হাসান বলেন, কাশেম ও মোরশেদ শুক্রবার চট্টগ্রামের একটি এসএ পরিবহনের অফিস থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো নিজেদের নামে পার্সেল করেন। শুক্রবার এই চালানটি ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। তাই কাশেম ও মোরশেদ শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে উড়োজাহাজে করে ঢাকায় আসেন। কিন্তু কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ইয়ায়বার বড় একটি চালান হবে আমাদের কাছে এমন একটি গোয়েন্দা তথ্য চলে আসে। আর সেই তথ্যে ভিত্তে তাদেরকে হাতেনাতে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা ঘটনাটির তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা আছি৷ এসএ পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছি।
এছাড়াও আটকদেরসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর কেউ যদি এর সঙ্গে জড়িত থেকে থাকে তাহলে তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।