চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনার সংক্রমণ এখনো ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সংক্রমণ না কমলে বাড়বে লকডাউন।
এই এলাকায় করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের সর্বশেষ তথ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের অতি উচ্চসংক্রমণশীল করোনার ভাইরাসে সাত জন আক্রান্ত শনাক্ত। তবে ঐ সাতজনের কারও ভারত ভ্রমণের ইতিহাস নেই। আইইডিসিআর বলছে, করোনার যে কোন ধরন শনাক্তের চেয়েও এখন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণই জরুরি।
অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চল থেকে করোনার নমুনায় পরীক্ষায় এখনো পর্যন্ত ২৩ জনের মধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের অতি উচ্চ সংক্রমণশীল করোনার ধরণের রোগী শনাক্ত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব রোগ নির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এবং আইদেশী অব্যাহত ভাবেই করোনার নতুন ধরন শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা করছে।
সর্বশেষ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় সাত জনের মধ্যে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনা শনাক্ত। আর সংক্রমণ পরিস্থিতির উপরই নির্ভর করছে লকডাউন কতদিন স্থায়ী হবে।
আইইডিসিআর অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেছেন, যত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাবে, ততই ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে প্রবেশ করে তার রূপ পাল্টাবে। শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, যতই আমাদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াবে ততই এই পরিবর্তনের মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে।
আইইডিসিআর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন, আমরা প্রতিদিন খবর নিচ্ছি, রাজশাহী মেডিক্যালে এখন পর্যন্ত তাদের পর্যাপ্ত রোগী সেবা দেওয়ার জন্য সক্ষমতা রয়েছে। যদি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তাহলে লকডাউন দেওয়া হবে।
আইইডিসিআর’র বলছে, দেশে এখনও পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার ধরনের করোনার সংক্রমণ এখনো বেশি তাই করোনার ধরনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা। তা না হলে করোনার সংক্রমণ যত বাড়বে করোনাভাইরাস তার ধরন পরিবর্তন কতে কমিউনিটিতে এর বিস্তার ঘটনাতেই থাকবে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে করোনার সংক্রমণ বন্ধ করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের।
আমের মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মৌসুমী অর্থনীতিকে মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আম সংগ্রহে স্থানীয় এবং স্বাস্থ্য প্রশাসন কিছু নিয়ম নীতি মেনে কাজ করছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন সীমান্ত জেলাসমুহে করোনার সংক্রমণ একেবারে কম না। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণ হার এখনও আশঙ্কাজনক। দেশের সকল সীমান্ত জেলাগুলোতে কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।