চাঁদপুর প্রতিনিধি: ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর এমভি ইমাম হাসান নামের একটি লঞ্চের পিছন দিক দিয়ে পানি প্রবেশ করায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
ওই লঞ্চে ৩৪৫ জনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও প্রায় ১হাজার ৬শ’ যাত্রী ছিল। এ ঘটনায় লঞ্চের মাস্টার, সুকানি ও করণিককে আটক করেছে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ।
শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলাল হোসেন।
আটক ব্যাক্তিরা হলেন: লঞ্চের মাস্টার কবির হোসেন, সুকানি মো. পারভেজ ও করণিক মো. আল-আমিন।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানান, রাত্রিকালীন যাত্রী নেওয়ার অনুমতি রয়েছে ৩৪৫ জন। কিন্তু লঞ্চটিতে প্রায় ১৬০০ যাত্রী উঠে। লঞ্চটি রাত ১১টায় ঘাট থেকে ছেড়ে কিছুদূর গেলে যাত্রীদের মধ্যে ডুবে যাওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীদের ছোটাছুটির কারণে লঞ্চটির পেছন দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করে। তাৎক্ষণিক মাস্টার পুনরায় লঞ্চটি ঘাটে নিয়ে আসেন। দুর্ঘটনা কবলিত ওই লঞ্চের যাত্রীদেরকে সিডিউলে থাকা এমভি ঈগল ও মিতালী লঞ্চে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন প্রশাসনের লোকজন।
চাঁদপুর নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, ঘটনার পর ঘাটে এসে খোঁজখবর নিচ্ছি। লঞ্চের ৩ স্টাফকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।