৯/১১ হামলার পর ধ্বংসস্তুপের মধ্যে আপাদমস্তক ধূলোয় ঢাকা সেই নারীর কথা নিশ্চয় মনে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর মার্সি বর্ডারস নামের ওই নারীর ছবি সারা বিশ্বের হামলার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। বিশ্বের কাছে পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘ডাস্ট লেডি’ নামে। সেই ‘ডাস্ট লেডি’ পাকস্থলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সোমবার ৪২ বছর বয়সে মারা যান দুই সন্তানের জননী মার্সি বর্ডারস। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
বর্ডারস মনে করতেন, হামলার সময় শরীরের ভেতর ঢুকে পড়া ধূলোর কারণেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ওই সময়ের পর তিনি বিষন্নতায় ভুগতে শুরু করেন এবং এক সময় মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।
হামলার সময় টুইন টাওয়ারের উত্তর টাওয়ারের ৮২ তলায় কাজ করছিলেন তিনি।
ঘটনার পর ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্ডারস বলেছিলেন, ‘প্রচণ্ড ঝাঁকুনির পর ভবনটি পড়ে যেতে শুরু করে। আমি নিজের উপর সমস্ত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একদম জমে গিয়েছিলাম। কিভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম সেটা আমার মনে নেই।’
হামলার দশ বছর পূর্তিতে নিউইয়র্ক পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বর্ডারস বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে আমি একদিনের জন্যও কোনো কাজ করিনি। এখন আমি পুরোপুরি বিধ্বস্ত একজন মানুষ। আমি সবসময় একটি বিমান দেখতে পাই এবং আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি।’
বর্ডারসের কন্যা নোয়েল বুধবার নিউ ইয়র্ক পোস্টকে বলেন, “আমার মা একজন অসাধারণ যোদ্ধা ছিলেন। তিনি শুধু ‘ডাস্ট লেডি’ নন, বরং তিনি আমার হিরো। তিনি সবসময় আমার মধ্যে বেঁচে থাকবেন।”