টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহন নামের একটি নৈশকোচে যাত্রীবেশে ডাকাতি ও দলবেধে ধর্ষণের ঘটনায় সোহাগ ও বাবু নামের আরো দুই আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
বুধবার বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক নওরিন করিমের আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এর আগে মঙ্গলবার সোহাগ ও বাবুসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বাকি চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মামলায় মোট ৯ জন আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল আদালতে ৬ জন আসামীর ৭ দিনের রিমান্ডে চাওয়া হলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এদের মধ্যে সোহাগ মন্ডল ও বাবু আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি বাস সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে যাত্রীবেশি ডাকাতরা গাড়িতে উঠে। টাঙ্গাইল অতিক্রম করার সময় তারা অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে যাত্রীদের টাকা পয়সা, মুঠোফোন, গহনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। এ সময় বাসের এক নারী যাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। পরে বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদি হয়ে গত বুধবার মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার ভাড়াবাসা থেকে ডাকাত দলের সদস্য বাস চালক রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে মো. আওয়াল ও নুরনবীকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার এই তিন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।