ব্যতিক্রমী সব কনটেন্ট উপহার দিয়ে দর্শকদের আস্থা অর্জনকারী শীর্ষস্থানীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হইচই’ চলতি বছর ১০টি অরিজিনাল কনটেন্ট আনবে, এরমধ্যে ৬টি কনটেন্টের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারা প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছিল ‘হইচই মিট ২০২২’।
সম্প্রতি ঢাকার এক পাঁচতারকা হোটেলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ‘হইচই বাংলাদেশ’ কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।
যাত্রা শুরুর ৩ বছরের মধ্যে বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে হইচই সাফল্য পায়। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে ‘হইচই বাংলাদেশ’ থেকে নির্মিত হতে যাওয়া ৬টি নতুন কনটেন্টের মধ্যে রয়েছে ‘দৌড়’, ‘কাইজার’, ‘সাবরিনা’, ‘বোধ’, ‘কারাগার’ ও ‘মহানগর সিজন ২’।
ঘোষণার পাশাপাশি সর্বমোট ১০টি অরিজিনাল কন্টেন্টের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ‘হইচই বাংলাদেশ’ কর্তৃপক্ষ। কনটেন্টগুলো সর্ম্পকে ধারণা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘দৌড়’ নির্মিত হবে একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তার গাড়ি নিয়ে ঘটে যাওয়া টানটান উত্তেজনার একটি গল্পে।
‘কাইজার’ একজন ভিডিও গেমে আসক্ত হোমিসাইড ডিটেক্টিভ। অস্বাস্থ্যকর সব অভ্যাস তার ব্যক্তি ও পেশা জীবনে নানা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আরও থাকবে কাইজার নাকি রক্ত ভয় পায়! ‘বোধ’ একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বোধের জাগরন এবং বিবেকের দংশন হয়ে যাওয়া বিচারের রায় কি বদলানো যায়? ‘সাবরিনা’ যেখানে সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে নারীদের উপর নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হবে। দুই নারীকে কেন্দ্র করে শিহরণ জাগানো গল্প হবে ‘সাবরিনা’।
‘কারাগার’ একটি জেল। একটি বদ্ধ সেল। সেলটিতে রাখা বেশ কিছু কয়েদীর আত্মহত্যার পর থেকে সেলটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। এক সকালে সেলটিতে এক কয়েদীকে খুঁজে পাওয়া যায় যে দাবী করে সেলের ভেতরে সে ২০০ বছর ধরে বন্দী। ‘মহানগর ২’-এ থাকবে ওসি হারুন ফিরে আসছেন। দুর্নীতিগ্রস্ত এই পুলিশ অফিসার বরখাস্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় সিজনের বিভিন্ন ঘটনা।
‘হইচই বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান বলেন, এদেশের মানসম্মত কনটেন্ট বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে ২০২২ সালে ৬টি অরিজিনালসহ বাংলাদেশ থেকে মোট ১০টি অরিজিনাল নির্মিত হচ্ছে। কন্টেন্টের ভবিষ্যত কার্যক্রমকে সুগম করতে আমরা আরও মানসম্মত কাজ দর্শকদের সামনে আনতে চাই। শুরু থেকে যারা আমাদের সাথে ছিলেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
‘হইচই মিট ২০২২’ আয়োজনে বাংলাদেশের শোবিজের একাধিক জনপ্রিয় অভিনয় শিল্পীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তারিক আনাম খান, চঞ্চল চৌধুরী, জাকিয়া বারী মম, সালাহউদ্দিন লাভলু, ইরেশ যাকের, শ্যামল মাওলা, সানজিদা প্রীতি, অর্চিতা স্পর্শিয়া, সাবিলা নূর, ইন্তেখাব দিনার, অর্ষা, সাফা কবির, সোহানা সাবা, রুনা খান, ইয়াশ রোহান, সাঈদ বাবু, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, জিয়াউল হক পলাশ, নাসির উদ্দিন, সোহেল মণ্ডল, খাইরুল বাশার।
পরিচালদের মধ্যে ছিলেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম, অমিতাভ রেজা, আশফাক নিপুণ, সৈয়দ শাওকি, শঙ্খ ঘোষ, শাফায়েত মনসুর রানা, চিত্রনাট্যকার নাজিম উদ দৌলাসহ একাধিক প্রযোজক। আরও ছিলেন গ্রামীণফোন, রবি, র্যাংকস এবং দারাজ বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে হইচই এর সাথে গ্রামীনফোন এবং রবির সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।