চোট পাওয়ায় মাঠের বাইরে চলে গিয়েছিলেন মারুফা আক্তার। টাইগ্রেস পেসার শেষ ওভারে আসেন বোলিংয়ে। যখন ভারতের ১ উইকেটে প্রয়োজন ৩ রান। প্রথম দুই বলে দুই রান নিয়ে ম্যাচ টাই করে ফেলে ভারত। তৃতীয় ডেলিভারিতে মেঘনা সিং ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক নিগার সুলতানা জ্যোতির গ্লাভসে। সঙ্গে সঙ্গেই উদযাপনে মাতে টিম টাইগ্রেস। তৃতীয় ওয়ানডে টাই হওয়ায় সমতায় (১-১) শেষ হয়েছে সিরিজ।
উপমহাদেশের প্রথম নারী দল হিসেবে ভারতকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে ইতিহাস গড়ার বড় সুযোগ ছিল বাংলাদেশের। ২২৬ রানের লক্ষ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে দুইশর কাছে চলে যায় ভারত। বৃষ্টি-বিরতির পর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ১৯১ রানে পঞ্চম উইকেট তুলে নেওয়ার পর টপাটপ আরও চার ব্যাটারকে ফেরায় বাংলাদেশ।
সফরকারীদের স্কোর মুহুর্তেই হয়ে যায় ২১৭/৯। শেষ উইকেটে ৯ রানের প্রয়োজন হয় ভারতের। ৮ রান যোগ করে থামে দলটি। মেয়েদের আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে এটি নবম টাইয়ের ঘটনা।
বাংলাদেশ: ২২৫/৪ (৫০ ওভার), ভারত: ২২৫/১০ (৪৯.৩ ওভার)
ফারজানা হক পিংকির ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরির ম্যাচটি বিফলে যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর টাই করে ম্যাচ। নাহিদা আক্তার তিনটি, মারুফা আক্তার দুটি উইকেট নেন। সুলতানা খাতুন, রাবেয়া খান ও ফাহিমা খানম একটি করে উইকেট নেন।
স্মৃতি মান্ধানা ৫৯, হারলিন দেওল ৭৭ রান করেন। জেমিমাহ রদ্রিগেজ ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
ব্যাটিংয়ে ভালো করতে মুখিয়ে থাকা বাংলাদেশের টপঅর্ডার জ্বলে উঠে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ফারজানা নাম লেখান রেকর্ডবুকে। ছেলেদের ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরি এসেছিল মেহরাব হোসেন অপির ব্যাটে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর মেয়েদের ক্রিকেটেও আসে সেঞ্চুরি। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ফারজানার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে লড়াকু পুঁজি পায় টিম টাইগ্রেস।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে অঘোষিত ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ওপেনার ফারজানা ১৬০ বলে ৭ চারে ১০৭ রানের ইনিংস খেলে শেষ বলে রানআউট হন। পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করার কৃতিত্বেও প্রথম বাংলাদেশি অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
এর আগে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা। তবে প্রতিপক্ষের ওয়ানডে স্ট্যাটাস না থাকায় সেটি আন্তর্জাতিক মর্যাদা পায়নি।
সকালে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। শামীমা সুলতানার সঙ্গে ফারজানার ওপেনিং জুটিতে আসে ৯৩ রান। ৯৮ বলে ৫ চারে ৫২ করে ফেরেন শামীমা। তিনে নেমে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি করেন ৩৬ বলে ২৪ রান। ২২ বলে দুই চারে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সংগ্রহ আরেকটু বড় করেন সোবহানা মোস্তারি।
ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। আগের সেরা স্কোর ছিল ২১০।