গলার কাঁটা হয়ে ঝুলে ছিলেন জাকির হোসেন। জয় হাতছানি দিলেও সাউথ জোনের শিরোপার পথে দাঁড়িয়ে তখন ইস্ট জোনের এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। সেই কাঁটা উপড়ে ফেললেন মাহমুদউল্লাহ। পরে বাকিদের চটজলদি ফিরিয়ে ২০২০ বিসিএলের শিরোপা জিতল আব্দুর রাজ্জাকের সাউথ জোন। সাত আসরের চারটিতেই ট্রফির স্বাদ পেলো সাউথরা।
বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো পাঁচদিনের ফাইনাল। কিন্তু খেলা শেষ চারদিনেই। চতুর্থদিনের শুরুতে মাত্র ১৪০ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট সাউথরা। প্রথম ইনিংসে পাওয়া ২১৩ রানের লিডের সঙ্গে এই রান যোগ হয়ে ইস্টের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫৪ রান।
হাতে পুরো পাঁচ সেশন থাকার পরও ইস্টের ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারলেন সবে দুই সেশন। ২৪৮ রানে অলআউট হয়ে প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে ১০৫ রানের জয়।
দুই উইকেট হাতে রেখে ১২৫ রানে দিন শুরু করা সাউথ বেশিদূর যেতে পারেনি মেহেদী হাসান ফিরে যাওয়া পর। ৪১ রান নিয়ে শুরু করা ডানহাতি অলরাউন্ডার আউট হওয়ার আগে করে গেছেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৩ রান।
ইস্টের দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও আবু হায়দার রনি নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। আরেক পেসার রুয়েল মিয়ার শিকার ২ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্রুত সাজঘরে ইস্টের দুই ওপেনার পিনাক ঘোষ ও মোহাম্মদ আশরাফুল। দলীয় ৩৩ রানে ফিরে যান অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। মাহমুদুল হাসান ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ৮৫ রানের জুটি ভরসা দিলেও মেহেদী হাসান এসে ভাঙেন প্রতিরোধ। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ৩১ রান করা আফিফকে।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে এসেছে ৩৯ রান। বিশ্বকাপজয়ী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে নিয়ে যুব দলের সাবেক অধিনায়ক মাহমুদুল হাসানের লড়াই ভাঙেন ফরহাদ রেজা। ১৭ রানে ফেরেন তামিম।
পরে ফরহাদের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ইস্টের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক মাহমুদুল হাসান। ফেরার আগে করে গেছেন ১০৪ বলে ৮১ রান। শেষদিকে জাকির ৪২ করলেও একদিন আগেই ম্যাচ জিতে নেয় সাউথ জোন।