চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনের ভোটের পরিসংখ্যান প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন চট্টগ্রামের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকদের মন্তব্য সর্বশেষ দুটি জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এগিয়ে থাকলেও চট্টগ্রাম শহরে বিএনপি জামাতের অবস্থানও শক্তিশালী। সাথে ভোট উৎসবে প্রভাব ফেলতে পারে ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিকান্দার খান বলেন, ‘এই নির্বাচনে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রভাব পড়বে। তবে আমরা যেহেতু এখন স্থানীয় সরকারের জন্য নির্বাচন করছি, তাই স্থানীয় সমস্যাগুলোর সমাধান কে দিতে পারবে তার প্রভাবও নির্বাচনে পড়বে।’
৯১ সালের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নতুনভাবে শুরু হওয়ার পর ৩টি নির্বাচনে চট্টগ্রাম সিটির ৫টি আসনে এগিয়ে থাকা বিএনপি ২০০৮ সালের নির্বাচনে সব আসনে হেরে যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের কাছে।
আরেকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইফতেখার উদ্দীন বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি কম থাকলেও সেই নির্বাচনটি অনেক জরুরি ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিরোধিতা করলেও পরে জাতীয় নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। জনগণের প্রয়োজন, দেশের প্রয়োজন বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছে। সিটি নির্বাচন নিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের মাঝে অনেক উৎসাহ তৈরি হয়েছে।’
সর্বশেষ ৫ জানুয়ারীর জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত ইসলামীঅংশ না নিলে শহরের ৫ টি আসনের ১টি জাতীয় পার্টিকেও ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। দুই দলের বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যদের সরব উপস্থিতিও রয়েছে নির্বাচনী প্রচারনায়।
চট্টগ্রামে জামায়াত ও হেফাজতের প্রভাবও রয়েছে। ’৯৪ সালে মেয়র নির্বাচনে জামায়াত সর্বশেষ একক প্রার্থী দিয়ে ৪০ হাজার ভোট পায়। গত নির্বাচনেও তাদের কাউন্সিলর প্রার্থী মোট ৬৫ হাজার মতো ভোট পেয়েছিলো। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন জামায়াতের চেয়ে দুই দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের চাওয়ার পাওয়ার দ্বন্দ্ব বেশি প্রভাব ফেলবে এবার মেয়র নির্বাচনে।