চট্টগ্রাম ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে সাইফুল্লাহ ওরফে শহীদ, শহীদউল্লাহ
শহীদ ও মাকু রবি দাস নামে তিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ১২টা ১ মিনিটে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে সাইফুল্লাহ ও শহীদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করার সময়জেলা প্রশাসক (ডিসি) মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা.
আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা কারা কর্তৃপক্ষসহ পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা
উপস্থিত ছিলেন।
২০০৪ সালে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে
সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক রুবেল দাসকে ফটিকছড়িতে নিয়ে হত্যা করে সিএনজি
ছিনতাই করা হয়।
এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মামলা হয় মিরসরাই থানায়।
পরের
বছর ২০০৫ সালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার আদালতে তিন আসামিকে
মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পরে উচ্চ আদালতে দুজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল
থাকে। একজনকে যাবজীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া সাইফুল্লাহ ও শহীদুল্লাহ রাষ্ট্রপতির কাছে
প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। এ আবেদন নাকচ করা হলে গতকাল দিবাগত রাতে দুজনের
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
আরেক মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মাকু রবি’র মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন কাশিমপুর কারাগার থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা জল্লাদ রাজু। এসময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসি কার্যকর হওয়া মাকু রবি দাসের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দারাগাঁওয়ে। তিনি সমাধনী রবিদাসের ছেলে।
প্রায় ১৬ বছর আগের এক হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ছিলেন রবিদাস। ২০০১ সালে এক প্রতিবেশী নাইনকা রবি দাস কে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন তিনি।
এই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২০০৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত মাকু রবি দাসকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
পরবর্তীতে মাকু রবিদাস আপিল করলেও তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানালে তাও নামঞ্জুর হয়।
গত ১২ মে কারা অধিদফতরের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফাঁসি কার্যকরের আদেশ দিলেও পবিত্র রমজান মাস থাকায় তা কার্যকর করা হয়নি।