কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মরদেহ তাদের পৈত্রিক ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাত ৩টার দিকে বদর প্রধান মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের মরদেহ নিয়ে চারটি এ্যাম্বুলেন্সসহ ১০টি গাড়ি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে যায়।
এর আগে রাত সাড়ে ১২টায় সাকা-মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয় বলে কারাগার সূত্র জানায়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে একই সাথে ফাঁসির দড়িতে ঝুলানো হয়।
আত্মীয়-স্বজনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে এই দুই ঘাতকের লাশ তাদের পৈত্রিক স্থানে দাফন করা হবে।
তবে আগে থেকেই স্থানীয় জনগণ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের লাশ চট্টগ্রামে ও ফরিদপুরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে দাবি জানিয়ে আসছিলো।
তাদের মন্তব্য, এই দুই ঘাতকের কারণে ওই দুই এলাকার মাটিকে কলঙ্কিত হবে। তবে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির যেনো সৃষ্টি না হয় সে ব্যপারে সতর্ক থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় মানবতাবিরোধী অপরাধী কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের লাশ দাফন কার্যক্রমেও কোনো ধরনের বিঘ্নতার সৃষ্টি হয়নি।