দুবাইভিত্তিক এয়ারলাইন্স কোম্পানি ফ্লাইদুবাই বাংলাদেশের চট্টগ্রামে ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে। ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে দৈনিক ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে আবারও এ সেবা চালু করবে সংস্থাটি।
চট্টগ্রামে ফ্লাইদুবাইয়ের এ পুনঃযাত্রার বিষয়ে ফ্লাইদুবাইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কমার্শিয়াল (ইউএই, জিসিসি, উপমহাদেশ ও আফ্রিকা) সুধীর শ্রীধরন বলেন, ‘চট্টগ্রামে ফ্লাইদুবাইয়ের কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটি বিমানসেবা পৌঁছায়নি এমন এলাকায় সেবা পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি দৈনিক ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে দুবাই ও অন্যান্য এলাকা থেকে যাত্রীদের কাছে সরাসরি ও সুবিধাজনক ফ্লাইট সেবা দেয়ার প্রতি আমাদের যে অঙ্গীকার সেটিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
২০১৭ সালের জুলাইয়ে এমিরেটস ও ফ্লাইদুবাইয়ের অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে এই রুটে কোড শেয়ার সুবিধা দেবে এমিরেটস। কোড শেয়ার ফ্লাইটে বুক করলে ফ্লাইদুবাই ফ্লাইটে এমিরেটসের ইকোনমি শ্রেণির যাত্রীরা সৌজন্যমূলক খাবার এবং এমিরেটসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ব্যাগেজ সুবিধা পাবেন। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের যাত্রীরা দুবাই হয়ে সারা বিশ্বে শ’খানেক গন্তব্যস্থলে ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।
চট্টগ্রামগামী ইকোনমি শ্রেণির সর্বনিম্ন ভাড়া ১৫০০ এইডি (আরব আমিরাত দিরহাম) এবং দুবাই যেতে ইকোনমি শ্রেণির সর্বনিম্ন ভাড়া ৪৫০ মার্কিন ডলার। ফ্লাইদুবাইয়ের ওয়েবসাইট (flydubai.com), এর কাস্টমার সেন্টার, ফ্লাইদুবাইয়ের ট্রাভেল শপ অথবা ট্রাভেল পার্টনার থেকে ফ্লাইট বুকিং করা যাবে।
দুবাই থেকে যাত্রা শুরু করে ৯০ টিরও বেশি গন্তব্যে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে ফ্লাইদুবাই। পরবর্তী দশকে এর বহরে ২৯৬ টিরও বেশি এয়ারক্রাফট বাড়ানোর লক্ষ্য এয়ারলাইনটির। ভ্রমণের বাধা দূর করে বাণিজ্য ও পর্যটনের ক্ষেত্রে মুক্ত প্রবাহ তৈরি এবং বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সংযোগ স্থাপনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০০৯ সালের জুন থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ফ্লাইদুবাই।