মেয়র প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যেয়ে মধুর হাসিতে তাদের ভোলানোর চেষ্টার পাশাপাশি নিজেরা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর আমলনামা তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থী যখন সদ্য সাবেক মেয়র ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তখন মনজুর আলমের উত্তর কুটনীতিকের মতো। ৫ বছরের সময়ে জনগণ তার যোগ্যতায় আস্থা হারালে নাছিরকেই ভোট দেবে বলে মন্তব্য তার।
আওয়ামীলীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী আজম নাসির মিনি ট্রাকে করে ভোট চাচ্ছেন নগরীর অসম্প্রাদায়িক এলাকা হিসেবে খ্যাত পাথরঘাটা ও ফিরিঙ্গিবাজার ফিসারিঘাট এলাকায়। যেখানে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-মুসলিমরা বছরের পর বছর বাস করছে মিলে মিশে। নগরীর উন্নয়নে নিজের যোগ্যতা আর কর্মক্ষমতাকে তুলে ধরার পাশপাশি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বির দুর্বলতাকেও তুলে ধরেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আগের মেয়ররা নগরবাসীকে ন্যূনতম যে সেবা দিত,এখন সেই সেবাটুকুও দেখা যায়না নগরীতে।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন,সদ্য বিদায়ী মেয়র জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা দূর করে চট্টগ্রামবাসীকে রক্ষা করবেন। কিন্তু ৫ বছরে তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই জনগণ তার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে আছে। তিনি হোল্ডিং ট্যাক্সও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগের মেয়ররা নগরবাসীকে যতটুকু ন্যূনতম সেবা প্রদান করেছিলেন তার কিছুই এখন দেখা যায়না নগরীতে।
অন্য প্রধান প্রার্থী বিএনপি ও ২০ দল সমর্থিত উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী মনজুর আলম গণসংযোগে ব্যস্ত আ জ ম নাছির থেকে এক কিলোমিটার দূরে জেলাখানা রোড, বক্সিরহাট, আনসার ক্যাম্প, খাতুনগন্জ এলাকায়। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বিখ্যাত এলাকার ভোটারদের কাছে পাঁচ বছরের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে আরেকবার সুযোগ চান।
মনজুর আলম বলেন,মানুষের সঙ্গে উপর দিয়ে মেশা ভালো না। আমি মানুষের সঙ্গে অন্তর দিয়ে মিশেছি বলে সবাই আমাকে সাদরে গ্রহণ করছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত অফিস না করার অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, অফিসে সরকারের আরো কর্মকর্তারা আছেন। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে এর ভালো উত্তর পাবেন, আমি ৫বছর কীভাবে চালিয়েছি।
নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই প্রার্থীদের অতীত-বর্তমানের, ভালো-মন্দের যোগ বিয়োগ করছেন ভোটাররা।