চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চট্টগ্রামের নির্বাচনে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি

নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে, বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি নিয়ে। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে প্রধান দুই দলের প্রার্থীসহ অন্যরা এখনো তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেননি। তাদের কৌশল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতিশ্রুতির বাহার দেখে নিজের ইশতেহার প্রকাশ করবেন।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী আজম নাছির উদ্দিন জানান, তাদের ইশতেহার তৈরী। যে কোন দিন ঘোষণা করা হবে।

 তিনি বলেন, জলাবদ্ধতাকে আর এড়িয়ে যাওয়া বা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নাই। এখন এটা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। যত দ্রুত এ জলবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে; ততই মঙ্গল।

বিএনপি ও ২০ দল সমর্থিত উন্নয়ন আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী  মনজুর আলম গতবারের প্রধান প্রতিশ্রুতির সিকি ভাগ বাস্তবায়নের সাফল্য দাবি করলেও অনেক কাজ অসমাপ্ত বলে জানান।

তিনি বলেন, এবারের ইশতেহারেও তাই জলবদ্ধতা নয় জলজট দূর করতে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন অগ্রাধিকার তার। সাথে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের সেবা আরো বাড়ানোর ওয়াদা থাকবে। স্বল্প মেয়াদি, মধ্য মেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করে আমার ৫৬ দফার বেশির ভাগিই বাস্তবায়ন করেছি।

জলবদ্ধতা চট্টগ্রাম সিটির প্রধান ইস্যু কিনা এ প্রশ্নের জবাবে মনজুর বলেন, ‘এটাও প্রধান ইস্যু। আমি শুরু করেছি কিন্ত কাজ শেষ করতে পারি নাই। তবে আমি যে দুটি খাল খননের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছি সেটা আমাকে বাস্তবায়ন করে যেতে হবে।

একজনের প্রধান প্রতিশ্রুতি জলাবদ্ধতা নিরসন। আরেকজন ভোটারদেরকে আকৃষ্ট করতে চান জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০ বছরে যে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন তা দিয়ে।

আজম নাছির তার ইশতেহারে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের ভেঙ্গে পড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নকে গুরুত্ব দিবেন।

আর পুরো সফলতার দাবি না করলেও জলবাদ্ধতা নিরসনে নেয়া প্রকল্পগুরো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন ধারাবাহিকতা প্রধান প্রতিশ্রুতি থাকবে মনজুর আলমের ।