চকবাজারে আগুনে নিহত ৬৭ জনের মধ্যে ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেলেও শনাক্ত না হওয়া ২২ জনের মরদেহ ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করছে সিআইডি।
শনাক্ত হওয়া ৪৫ জনের মধ্যে ৪০ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ১৫ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
মরদেহ সৎকারে ২০ হাজার করে টাকা দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। নিহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও আহতদের যথাযথ চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
শ্রম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।
ঘটনা তদন্তে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিস কমিটি গঠন করেছে। এছাড়াও চকবাজার ও আশেপাশের আবাসিক এলাকার সব কেমিক্যাল ও প্রসাধনী কারখানার তালিকা করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
বুধবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটে চকবাজারের নন্দ কুমার দত্ত রোডের শেষ মাথায় মসজিদের পাশে ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে চকবাজারের চুড়িহাট্টা জামে মসজিদের পাশে আসগর লেন, নবকুমার দত্ত রোড ও হায়দার বক্স লেনের সংযোগস্থলে অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হয়। গলির একপাশে ছিলো ৬৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের ওয়াহিদ ম্যানসন, অন্যপাশে বাচ্চু মিয়ার বাড়ি। এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী, হোটেল অথবা গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের ফলে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ওই আগুন হঠাৎ বিদ্যুতিক লাইনের ট্রান্সফরমারে ধরে যায়। ফলে ট্রান্সফরমারে বিস্ফোরন ঘটে। আশেপাশে কোনো কেমিক্যাল কারখানা বা গোডাউন ছিল না বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে।