ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো পুরেপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। আবারো ঘুরে দাঁড়াতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রীর পাশাপাশি বর্ষার আগেই সরকারি সহায়তায় দ্রুত বাড়িঘর পুনঃনির্মানের দাবি জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
মোরায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়া ও টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দারা মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। সেন্টমার্টিন ও কুতুবদীয়াসহ কিছু কিছু এলাকায় সরকারীভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা ।
মূল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদীয়া, মহেশখালী ও সেন্টমার্টিনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। সরকারি হিসাবে জেলায় মোরার আঘাতে ৫২ হাজার ৫৩৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ হাজার ২৩টি বসত ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। বেসরকারিভাবে ক্ষতির পরিমান অনেক বেশী। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৮টি ট্রলার ও অনেক মাঝি মাল্লা।
ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সরকারের ত্রান তৎপরতা জোরদার করতে নির্দেশ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রী।
গত মঙ্গলবার কুতুবদিয়া হয়ে কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় মোরা। ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় এলাকা কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, টেকনাফের অন্তত ৩০টি ইউনিয়ন।
বিস্তারিত দেখুন কক্সবাজার থেকে সরওয়ার আজম মানিকের তথ্য ও ভিডিও চিত্র নিয়ে মৌসুমি সুলতানার রিপোর্ট: