চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঘূর্ণিঝড় টেমবিন: ফিলিপিন্সে উদ্ধারকারীরা খুঁজছে শুধু মৃতদেহ

ফিলিপিন্সের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় টেমবিন ও আকস্মিক বন্যায় ২ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে। এই ঝড়ে ভয়াবহভাবে আক্রান্ত মিন্দানাও দ্বীপের বেশকিছু এলাকায় উদ্ধারকারী দল এখনো পৌঁছাতেই পারেনি। তাই জীবিত মানুষ খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা সময়ের সাথে ক্ষীণ হয়ে যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লানাও দেল নর্তে এলাকায় ১২৭, জাম্বোয়াঙ্গা উপত্যকায় ৫০, পিয়াগাপোতে ১০ এবং লানাও দেল সুরে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার থেকে ঘূর্ণিঝড় টেমবিনের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে মিন্দানাও দ্বীপসহ ফিলিপিন্সের পুরো দক্ষিণাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। মিন্দানাওয়ের বহু অংশে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জরুরী অবস্থা জারি করা হলেও পুরোপুরি রক্ষা হয়নি। বৃষ্টির প্রভাবে নদীর পানি বেড়ে আশেপাশের গ্রাম তলিয়ে যায়। কোনো কোনো গ্রামে একটি বাড়িও আর অবশিষ্ট নেই।

ফিলিপিন্স-ফিলিপিন্সে ঘূর্ণিঝড় টেমবিন
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে

৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে এগিয়ে যাওয়া টেমবিনের তাণ্ডবে আকস্মিক বন্যায় দালামা নামের একটি গ্রাম পুরোপুরি ধুয়েমুছে যায়। এছাড়াও সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত আরও দু’টি গ্রাম তুবোদ এবং পিয়াগাপো।

পালাওয়ান হয়ে ঝড়টি এখন পশ্চিমের দিকে সরে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর তাই, বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস সম্ভাব্য সব রকমের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।ফিলিপিন্স-ফিলিপিন্সে ঘূর্ণিঝড় টেমবিন

ফিলিপিন্সের জন্য ঘূর্ণিঝড় নতুন কিছু নয়। ২০১৩ সালে টাইফুন ‘হাইয়ান’ এর আঘাতে ৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। মাত্র ১ সপ্তাহ আগেও ঘূর্ণিঝড় ‘কাই-তাক’ এর আঘাতে প্রাণ হারায় অনেকে। এবার ঘূর্ণিঝড় ‘টেমবিন’-এর আঘাতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ ফিলিপিন্স।