ঘুষ, দুর্নীতি নিয়ে সরকারের কাছে কোন তথ্য নেই, আবার অন্য সংস্থার গবেষণা অস্বীকারের প্রবণতাও আছে সরকারের একটা অংশের: একে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এসডিজি অর্জনে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি। সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলেন, নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও দুর্নীতি, ঘুষ, টাকা পাচার আর মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে।
রোববার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবি কার্যালয়ের আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ১৬: দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যের ওপর বাংলাদেশের প্রস্তুতি, বাস্তবতা ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য-এসডিজি’র ১৬ নম্বরের চারটি সূচক-অবৈধ টাকা ও অস্ত্রের ব্যবহার এবং দুর্নীতি ও ঘুষ কমানো, কার্যকর ও স্বচ্ছ প্রতিষ্ঠান এবং মৌলিক অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশে অগ্রগতি পর্যালোচনা করে টিআইবি বলছে, ২০০৫ থেকে ১৪-১০ বছরে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৬ লাখ কোটি টাকা। সেবা নিতে গিয়ে দুর্নীতি শিকার হন প্রায় ৬৮% মানুষ। আইনের ঘাটতির কারণে কার্যকর হচ্ছে না ১৫টি প্রতিষ্ঠান।
টিআইবি’র শঙ্কা, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, নিম্ন আদালতের ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের ওপর সংসদ সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’র জবাবদিহিতার অভাব এসডিজি বাস্তবায়নে বড় বাধা হতে পারে। এজন্য সবক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইন তৈরি আর তা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার-বলছে টিআইবি।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: