উড়োজাহাজে সহযাত্রীকে ঘুষি মারার ঘটনায় সাবেক হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন মাইক টাইসনকে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। নিশ্চিত করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার একজন প্রসিকিউটর।
গত ২০ এপ্রিলের সেই ঘুষির ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, টাইসন সিটের পেছনে ঝুঁকে সহযাত্রীকে আঘাত করেছেন। ওই ব্যক্তির খানিকটা রক্তও ঝরেছে।
সান মাতেও কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি স্টিভ ওয়াগস্টাফ বলেছেন, কিংবদন্তি বক্সারের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হবে না।
‘আমরা সান ফ্রান্সিসকো পুলিশ বিভাগ এবং সান মাতেও কাউন্টি শেরিফের অফিসের পুলিশ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেছি এবং বিমানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংগৃহীত বিভিন্ন ভিডিও দেখেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত, ঘটনার পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে মি. টাইসনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করব না।’
টাইসন ফ্লাইটে ওঠার সময় প্রথমে সেই যাত্রী এবং তার বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণই করছিলেন। পরে ঘুষি খাওয়া লোকটি তাকে উস্কানি দেয়া বন্ধ করেননি। যিনি মাইকের সাথে কথা বলার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন।
যাত্রীটি টাইসনের পেছনে কানে কানে কথা বলা দূরত্বে অবস্থান করছিলেন। টাইসন তাকে শান্ত হতে বলেন অনেকবার। প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যে, টাইসন সেসময় বেশ কয়েকটি ঘুষি মারেন।
সর্বকালের সেরা হেভিওয়েট বক্সারদের একজন টাইসন খ্যাপাটে আচরণের জন্যও বেশ পরিচিতি। ১৯৯৭ সালে লড়াই রিংয়ে প্রতিপক্ষ ইভান্ডার হলিফিল্ডের কান কামড়ে দিয়েছিলেন। ধর্ষণ এবং কোকেন আসক্তির জন্যও তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত।
১৯৯২ সালে টাইসনকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তার তিন বছরের জেল হয়। ২০০৭ সালে তিনি কোকেন আসক্তির কথা স্বীকার করেছিলেন।