কন্টেন্ট তৈরিতে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যে কয়টি রং বাহারি ইউটিউব চ্যানেল দর্শকের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় তারমধ্যে অন্যতম ‘লনিস ওয়ার্ক’ নামের চ্যানেলটি। যেখান থেকে নিয়মিত ফানি ভিডিও ও প্র্যাংক আপলোড করা হলেও যার বেশির ভাগ কন্টেন্ট বেশ মান সম্মত। শুধু লোক হাসানোর উদ্দেশ্যেই যেগুলো তৈরি হয় না। এমনটাই জানালেন ‘লনিস ওয়ার্ক’-এর সৈয়দ গোলাম তানভীর লনি। তবে এবার কন্টেন্টে নয়, অভিনব টেকনোলজি ব্যবহার করে ৩৬০ ডিগ্রী ভিডিও আপলোড দিয়ে রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছেন তিনি।
৩৬০ ডিগ্রী ভিডিও স্পেশালিটি কী? এ বিষয়ে জানালেন লনি। বললেন, শুধুমাত্র ক্যামেরায় ঠিক করে দেয়া একটি নির্দিষ্ট সাবজেক্টেই সীমাবদ্ধ থাকছেন না দর্শক, বরং ভিডিওর মূল সাবজেক্টের বাইরে গিয়েও এর চারিদিক দেখতে পারবেন সবাই। যে কারণে দর্শক ভিডিও নতুন ভাবে দেখার সুযোগ পাবেন যা তারা আগে কখনও পায়নি। ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপে হলে ইউটিউবের ভিডিওগুলো মাউস দিয়ে ড্র্যাগ করে নিজের পছন্দ মতো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখতে পারবেন দর্শক। মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেটেও টাচ স্ক্রিনের মাধ্যমে ভিডিও গুলো নিজের পছন্দ মত দেখা যাবে।
আমি কি দেখাচ্ছি সেই বাধ্যবাধকতায় দর্শক পড়ে থাকছে না, বরং দর্শক তার নিজের মতো করে চারপাশ দেখে নিতে পারছে। বিশেষ করে কোনো স্মরণীয় বা ঐতিহাসিক জায়গার ক্ষেত্রে এমন ধরনের ভিডিও দর্শকদের মধ্যে বেশ প্রভাব ফেলবে বলেও মনে করেন লনি। এজন্যই তিনি ৩৬০ ডিগ্রী ভিডিওর ট্যাগলাইনে ব্যবহার করেছেন, ‘ঘুরবেন, নাকি ঘুরাইবেন’!
তবে এমন ফরম্যাটের ভিডিও দর্শকদের জন্য বেশ উপভোগ্য হলেও যিনি নির্মাণ করেন তার পক্ষে কাজটি মোটেও সহজ নয়। সহজ ছিলো না লনির জন্যও। ভিডিওটি নির্মাণ করতে গিয়ে টানা কয়েকদিন এডিট প্যানেলেই কাটাতে হয়েছে। একাধিক ক্যামেরায় দৃশ্য ধারণ করে সেগুলোকে সমান লেয়ারে, শব্দসংযোজন করে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। আর এসবকিছু সব একাই করেন লনি। তবে এতো ত্যাগের পরেও দর্শকের কাছে নতুন স্বাদের ভিডিওটি উপহার দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি। জানিয়েছেন, দর্শকের আগ্রহ থাকলে নিয়মিত এমন ভিডিও নিয়ে হাজির হবেন তিনি।
দর্শকের কাছে ভালো কাজ নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতির ফাঁকে একটা আবদারও করে বসেন লনি। কিছুটা অভিমান নিয়েই যেন বললেন,সোশাল মিডিয়া বা ইউটিউবে প্রায়ই দেখি কিছু বিষয় ভাইরাল হতে। এরমধ্যে বেশির ভাগই অরুচিকর, বিদ্বেষমূলক! এগুলো নিয়ে আমার অভিযোগ বা অনুযোগ নেই সত্য, কিন্তু তার পাশাপাশি ভালো জিনিষেরওতো প্রমোশন হওয়া উচিত। না হলে ভালো কাজ করার ইন্সপেরেশন কীভাবে পাবো!