চা আমাদের ঐতিহ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মূলত কফি পান নাগরিক অভ্যাসে বেশি থাকলেও তা অনেকটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে প্রান্তিক জনপদ জুড়েও। সকালে এক কাপ চা অথবা কফি দিয়ে শুরু করা মানুষের সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবেনা। ব্যক্তিত্ব আর জীবনযাপনের সঙ্গে চা বা কফির প্রায় যেন অচ্ছেদ্য বন্ধন এখন।
কারো কারো তো দিনে কয় কাপ চা বা কফি গলধকরণ হল তার হিসাব থাকেনা। কিন্তু অতি চা কফি প্রীতি অথবা সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা বা কফি অথবা রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগেও চা-কফি পানের পুনরাবৃত্তি কি আদৌ স্বাস্থ্যসম্মত?
পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর কারিনা কাপুরের মাতৃত্বকালীন পর্বে পুষ্টি পরামর্শ দিয়ে খ্যাতি কুড়িয়েছেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সারা দিনে ২/৩ কাপ এর বেশি চা-কফি পান একদমই ঠিক না। কখন চা বা কফি খাওয়া ঠিক না এ বিষয়ে তার অভিমত, ঘুম থেকে উঠে, শোয়ার আগে এবং দিনে মূল খাবারের পরিবর্তে চা খেয়ে কাটানো উচিত নয়। নিজের টুইটার পেজে এমন পরামর্শ দেন রুজুতা।
আরেকটি বিষয় বেশ চলছে বর্তমানে। গ্রীন টি বা কফি। বিশ্বজুড়ে সবুজ চা বা কফির বিশাল বাজার রয়েছে। কোটি স্থুল স্বাস্থ্য মানুষ মনে করে সবুজ চা বা কফিতে ওজন কমে। সেজন্য নিয়মিত তারা গ্রীন টি বা কফি পান করে। কিন্তু পুষ্টি বিশেষজ্ঞের অভিমত, যে স্বাস্থ্যসম্মত বিষয়ের কথা বলা হয় গ্রীন টি বা কফির ক্ষেত্রে তা কেবল পুঁজির মুনাফার স্বাস্থ্যবৃদ্ধি ভোক্তার বা গ্রহীতার নয়।